কক্সবাজারঃ কক্সবাজারের মাদক কারবারিদের নিয়ে সদ্য প্রকাশিত তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
তিনি বলেন, বিভিন্ন সেক্টর থেকে আমরা অনেক তথ্য পাই। তা যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। যে তালিকা এখন পাওয়া গেছে তা নিয়েও যাচাই-বাছাই চলছে। তালিকায় কারও নাম এলো বলে তিনি দোষী হয়ে যাননি। সব বিষয় তদন্ত করে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে চলমান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠক থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আমি কমিটির একজন সদস্য মাত্র। বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলো কমিটির সভাপতি উপস্থাপন করবেন। বৈঠক এখনো চলমান।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পকেন্দ্রিক অপহরণের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা সব খবর নিয়েছি। খুন, ডাকাতি ও অপহরণের সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না। সব অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজীর আহমদের সভাপতিত্বে চলমান বৈঠকে কমিটির সদস্য সংসদ সদস্য মো. আফছারুল আমীন, মো. হাবিবর রহমান, সামছুল আলম দুদু, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, পীর ফজলুর রহমান, নূর মোহাম্মদ, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ ও বেগম রুমানা আলী, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরানসহ শৃঙ্খলাবাহিনীর বিভিন্ন বিভাগের প্রধান ও প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টরা সভাস্থলে আসেন।
এর আগে শুক্রবার বিকেলে কক্সবাজার আসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শনিবার তিনি শাহপরীরদ্বীপ সংলগ্ন সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। একই দিন বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্যরা ৩৪ বিজিবির অধীনস্থ বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্তের ফ্রেন্ডশিপ লালব্রিজ এলাকা পরিদর্শন করেন।
পৃথক পরিদর্শন শেষে রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠক বেলা ১১টায় শুরু হয়। বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন কমিটির সদস্যরা, এমনটি জানিয়েছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. আবু সুফিয়ান।
বুইউ