৬.১ ডিগ্রি তাপমাত্রায় কাঁপছে পঞ্চগড়

জেলা প্রতিনিধি, পঞ্চগড় জানুয়ারি ১৪, ২০২৩, ১১:৩০ এএম

পঞ্চগড়ঃ হিমালয় ও কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতের কাছাকাছি হওয়ায় দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে বয়ে চলছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। সপ্তাহজুড়ে ঘনকুয়াশা আর হিমশীতল বাতাসের কারণে হাড় কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে।

শনিবার (১৪  জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। এই তাপমাত্রা দেশের মধ্যে এবং চলতি শীত মৌসুমের মধ্যেও সর্বনিম্ন। এর আগে গত ১০ জানুয়ারি রেকর্ড করা হয়েছিল ৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। টানা এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহের শীতের দাপটে নাজেহাল হয়ে পড়েছে উত্তরের এ জেলা।  

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, গত তিনদিন তাপমাত্রা বাড়লেও আজ নেমে এসেছে ৬ দশমিক ১ ডিগ্রিতে। গতকাল শুক্রবার রেকর্ড করা হয়েছিল ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে এ জেলায় স্মরণকালে এ জেলায় ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।

এদিকে, গত কয়েকদিনে কুয়াশা আর ঠান্ডার প্রভাব কিছুটা কমে গেলেও সকাল থেকে আবারও ঘন কুয়াশা ঢেকে আছে জেলার পথ-ঘাট, প্রান্তর। কুয়াশার কারণে সড়কগুলোতে বাস, ট্রাক, পিকআপ, মোটরসাইকেল, ভ্যানগুলোকে হেডলাইন জ্বালিয়ে চলতে দেখা গেছে।

শীতের তীব্রতা উপেক্ষা করে ঠান্ডার মধ্যেই জীবিকার তাগিদে কাজের সন্ধানে বের হয়েছেন সাধারণ শ্রমিকরা। আর গরম কাপড়ের অভাবে কাজে পৌঁছাতে দেরি হচ্ছে তাদের। এছাড়া তীব্র শীতে জেলায় ঠান্ডাজনিত রোগের প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি। এ কারণে শীতের পোশাক কিনতে দোকানে ভিড় করছেন ক্রেতারা।

চিকিৎসকরা বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে। এমনিতে শীত মৌসুমে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়। শীতজনিত রোগ হিসেবে সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট বেশি হয়ে থাকে। আর শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। তাই এ সময়টাতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলে কিছুটা হলেও সুরক্ষা মিলবে।

জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, জেলায় আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয়েছিল ৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ১০ জানুয়ারি এ জেলায় ৬-এর ঘরে তাপমাত্রা হিসেবে ৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। বিশেষ করে কুয়াশা না থাকলে তাপমাত্রা কমে। জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহিত হচ্ছে।  

জেলা প্রশাসক মো.জহুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে এ পর্যন্ত চল্লিশ হাজার শীত বিতরণ করা হয়েছে। এ জেলার শীতার্ত মানুষের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তবে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও দানশীল ব্যক্তিদের এগিয়ে আসতে হবে।

বুইউ