ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিক খুনের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ২

জেলা প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জানুয়ারি ১০, ২০২৩, ১২:১৮ পিএম
নিহত সাংবাদিক আশিকুল ইসলাম আশিক।

ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ তরুণ সাংবাদিক আশিকুল ইসলাম আশিক (২৭) খুনের ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় প্রধান আসামিসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) রাতে নিহত আশিকের বাবা আশরাফ উদ্দিন বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় দুইজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩/৪জনকে আসামি করা হয়েছে।

গ্রেফতাররা হলেন— প্রধান আসামি রায়হান মিয়া ওরফে সোহান (২১) ও সাফিন আহমেদ জুনায়েদ (২১)।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহরাব আল হোসাইন বলেন, আশিকের বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। এই মামলার প্রধান আসামি রায়হান মিয়া ওরফে সোহান ও সাফিন আহমেদ জুনায়েদকে রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এর আগে, সোমবার বিকেলে জেলা শহরের অবকাশ এলাকায় রায়হানের নেতৃত্বে ছুরিকাঘাত করে আশিকুল ইসলাম আশিককে খুন করা হয়। ঘটনার পর সন্ধ্যায় শহরের শিমরাইলকান্দি রেললাইন এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিসহ গ্রেফতার করা হয় প্রধান অভিযুক্ত রায়হান মিয়া ওরফে সোহানকে। রায়হান পৌর এলাকার ভাদুঘরের শিরু মিয়ার ছেলে। পরে রাতে দক্ষিণ মৌড়াইল এলাকার আব্দুল হামিদের ছেলে সাফিন আহমেদ জুনায়েদকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘরের সভাপতি আজহারউদ্দিন জানান, আশিক ঢাকা থেকে প্রকাশিত ‘দৈনিক পর্যবেক্ষণ’ পত্রিকার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি ছিলেন।  সাংবাদিকতার পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর সংগঠনের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। সোমবার বিকেলে শহরের অবকাশ পার্ক আমাদের সংগঠনের মাসিক সভা ছিল। সভা শেষে আমরা দুইটি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও রিকশা যোগে ফিরে আসছিলাম। আশিক আমার অটোরিকশার পেছনে একটি রিকশায় ছিলেন। কিছুদূর যাওয়ার পর পাবলিক লাইব্রেরির সামনে রায়হানসহ আরও কয়েকজন এসে আশিককে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বুইউ