পঞ্চগড়ঃ হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় হিমশীতল বাতাস ও কুয়াশায় বেশ ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে। তীব্র শীত আর হিমেল হাওয়ায় জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে।
শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.রাসেল শাহ্ জানান, আজ সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হিমালয়ের কাছে হওয়ায় উত্তর পশ্চিমাঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ার কারণে বেশ ঠাণ্ডা অনুভুত হচ্ছে। যা গতকালও ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
জানা গেছে, পঞ্চগড়ে গত কয়েকদিন থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণে তাপমাত্রা কমতে থাকে এবং বিকেল থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত হিমশীতল বাতাস ও প্রচন্ড শীতে জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্ভোগ। তীব্র শীতের কারণে গ্রামগঞ্জের মানুষ শীতের গরম কাপড় পরিধান করছে।
গত ২-৩ দিন থেকেই শীতের তীব্রতা হঠাৎ বেড়ে যায়। এছাড়াও দিনের বেলা রোদের দেখা মিললেও শীতের তীব্রতা কমেনি। সারাদিন ঠাণ্ডা আবহাওয়া বিকেলে শীতের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পায়।
শুক্রবার সকাল ১০টার পরও সূর্যের দেখা যায়নি। ঘন কুয়াশার কারণে প্রতিদিন দুপুর পর্যন্ত হেটলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করে যানবাহন। পথচারী, রিকশাচালক ও দুঃস্থদের খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে।
এদিকে জেলায় প্রায় দুই লাখ দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের বিপরীতে সরকারিভাবে এখন পর্যন্ত মাত্র ২৭ হাজার ৬০০ শীতের কম্বল বিতরণ করেছে জেলা প্রশাসন। যা চাহিদার তুলনায় কম। তবে আরও শীতবস্ত্রের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে প্রতিদিন শীতজনিত রোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা বেশির ভাগই শিশু ও বৃদ্ধ রোগী। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ২৭ হাজার ৬০০ শীতের কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আরও ১৫ হাজার শীতের কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেগুলো হাতে পেলেই বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে।
বুইউ