চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস

জেলা প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা জানুয়ারি ৫, ২০২৩, ০৪:১৩ পিএম

চুয়াডাঙ্গাঃ জেলার ওপর দিয়ে টানা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলায় ভোগান্তিতে পড়েছেন চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন  অঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষের। গত ৩ বা ৪ দিন ধরে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলছে এ জেলার ওপর দিয়ে। উত্তর থেকে বয়ে আসা হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতা আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৫ই জানুযারি) সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বেলা বাড়লেও মিলছে না সূর্য বা রোদের দেখা। গত ৩ দিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় সূর্যের দেখা মেলেনি। এ অবস্থায় দুর্ঘটনা এড়াতে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। গত কয়েকদিনের তুলনায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। তবে শীতের তীব্রতা সে তুলনায় কমেনি।

সকাল থেকেই চুয়াডাঙ্গায় মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়া বিরাজ করছে। এদিকে বেলা বাড়লেও সূর্যের দেখা মেলেনি। রোদ না থাকায় হিমেল বাতাসে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। এ শীতে ভোগান্তিতে পড়েছে জেলার নিম্নআয়ের মানুষেরা। কাজের সন্ধানে বাড়ি থেকে বের হয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ভিড় জমাচ্ছেন তারা। তবে পাচ্ছেন না কাঙ্খিত কোনো কাজ। ফলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনমান।

প্রচণ্ড শীতে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ বিশেষ করে নির্মাণ ও কৃষি শ্রমিকরা পড়েছে চরম বিপাকে। বস্তি এলাকায় খড়কুটো জ্বালিয়ে অনেককে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে। সকালে ও রাতে ঘন কুয়াশা থাকায় হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করেছে।

গ্রাম অঞ্চলের মানুষদের দেখা যায়, সকাল হতেই কাজের জন্য বাজার ঘাটে বসে আছে। কিন্তু শৈত্যপ্রবাহ কারণে মেলছে না তাদের কাজ।

দিনমুজুরি নুর-ইসলাম বলেন, শীতের কারণে অনেক দিন কাজের দেখা মেলেনি। অনেক গরীব মানুষ আছে যাদের এই শীতে কাজ না থাকায় চিন্তায় পরেছে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানিয়েছেন, গত কয়েকদিনের তুলনায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। তবে রোদের প্রখরতা না থাকায় ও বাতাসের গতিবেগ বেশি থাকায় শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। আজ সকালে ১০ টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বুইউ