ভোট দিয়ে মোস্তফা বললেন, জয়ের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর ডিসেম্বর ২৭, ২০২২, ১০:২৩ এএম

রংপুরঃ রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এবারও বিপুল ভোটে জয়ের ব্যাপারে নিজের আশাবাদের কথা জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও সদ্য সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে নগরীর ২১ নম্বর ওয়ার্ডের আলমনগর কলেজ রোড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়ে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এই আশাবাদের কথা জানান।

নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মোস্তফা বলেন, ‘জয়ের বিষয়ে আমি শতভাগ আশাবাদী। গত মেয়াদে রংপুরের মানুষ আমাকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করিয়েছে। এই পাঁচ বছরে রংপুরের যে উন্নয়ন হয়েছে তার মূল্যায়নে এবারও বিপুল ভোটে বিজয়ী হবো বলে আশা করছি।’

এদিকে ইভিএমে ত্রুটির কারণে প্রথম দফায় অনেক চেষ্টা করেও ভোট দিতে পারেননি জাতীয় পার্টির প্রার্থী। পরে অবশ্য তিনি ভোট দিতে সক্ষম হন।

এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ সদ্য সাবেক মেয়র বলেন, ‘আমি ভোট দিতে গিয়ে দেখি ইভিএম মেশিন হ্যাং হয়ে গেছে। মেশিন কোনো কাজ করছে না। প্রতিটি কেন্দ্রে ইভিএম মেশিন যদি সমস্যা করে, তাহলে ভোট প্রদান বিলম্বিত হবে। নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।’

এ সময় জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইভিএমের এই সমস্যার দ্রুত সমাধানের জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় মহানগর এলাকায় মোট ২২৯টি ভোটকেন্দ্রে একযোগে ভোট শুরু হয়েছে। বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট চলবে। সবগুলো কেন্দ্রেই ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে।

সকালে ভোট শুরু সময় ভোটারদের কেন্দ্রে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে ভোটের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। পাশাপাশি প্রার্থীদের সমর্থকদের ব্যাজ পরা লোকদের কেন্দ্রের বাইরে জড়ো হতে দেখা গেছে। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জোরালো উপস্থিতি দেখা গেছে।

এবার রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ভোটার চার লাখ ২৬ হাজার ৪৭০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ১২ হাজার ৩০২ এবং নারী ভোটার দুই লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন এবং হিজড়া ভোটার একজন। ২২৯টি কেন্দ্রের বুথ সংখ্যা ১ হাজার ৩৪৯টি। 

নির্বাচনে মেয়র পদে জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) শফিয়ার রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল, খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল রাজু, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম খোকন, বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির আবু রায়হান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেহেদী হাসান বনি ও লতিফুর রহমান মিলন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এছাড়া সংরক্ষিত ১১টি ওয়ার্ডে ৬৮ এবং ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৮৩ জন কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

বুইউ