খাগড়াছড়িঃ খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার কলাবুনিয়া ছড়া এলাকায় টহল চলাকালীন সময়ে আনুমানিক ৬ থেকে ৮ বিঘা গাঁজার খেত সন্ধান পায় মহালছড়ি সেনা জোন।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) মহালছড়ি উপজেলার কলাবুনিয়া এলাকায় গাঁজা খেত পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেয় প্রশাসন।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, দুর্গম পাহাড়ে গাঁজার চাষ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে তা সরবরাহ করে থাকে মাদক ব্যবসায়ীরা।
খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়নের আওতাধীন মহালছড়ি জোন কর্তৃক অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে উদ্ধারকৃত গাঁজা একত্রে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
গোয়েন্দা তথ্যের সূত্রে জানা জানায়, গহীন অরণ্য ও দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় যেখানে তুলনামূলক জনবসতি কম সে সকল জায়গায় মাদক ব্যবসায়ীরা নিরাপদ এলাকা হিসাবে বেছে নেয়। আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোর সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা, অস্ত্র ক্রয় ও তাদের বেতন ভাতাসহ অন্যান্য প্রশাসনিক কাজে মাদক ব্যবসা থেকে অর্জিত অর্থ ব্যয় করা হয়ে থাকে। কলাবুনিয়া ছড়া এলাকাটি প্রত্যন্ত ও দুর্গম হওয়ায় এই এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল নেই বললেই চলে।
গাঁজা খেতের সন্ধান পাওয়ার পরপরই মহালছড়ি জোনের সেনাবাহিনীর একটি টিম ওই এলাকায় গিয়ে ২৫০ থেকে ৩০০ কেজি গাঁজা খেত থেকে পুড়িয়ে ধ্বংস করে। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে অপরাধীরা সবাই পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
ঘটনাস্থলে তখন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের একটি দল ও স্থানীয় থানার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, পাহাড়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী দল ইউপিডিএফের (মূল) প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় এই গাঁজার চাষ করা হয়ে থাকে।
নিরাপত্তা বাহিনীর এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকায় জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। মহালছড়ি জোন সর্বদা সাধারণ মানুষের পাশে থেকে জনসাধারণের জীবনযাত্রার মান এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আসছে।
মহালছড়ি সেনা জোনের এমন কার্যক্রম সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন প্রকার মাদকের চাষ বন্ধ এবং মাদক বিক্রি নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম হবে বলে এলাকাবাসী আশা প্রকাশ করেছেন।
এসএস