কক্সবাজারঃ উখিয়ার একমাত্র খেলার মাঠ দখল করে নিয়েছিল রোহিঙ্গারা। গতকাল ছুটির দিনে দুপুরে মাঠের দখল নেয় রোহিঙ্গাদের বড় একটি দল। বের করে দেওয়া হয় বাংলাদেশিদের। বাংলাদেশি তরুণ যুবকরা খেলতে গেলে রোহিঙ্গারা বলে, তোমরা খেলতে পারবে না।
দুপুর থেকে উখিয়া উপজেলা প্রশাসনের অফিস ও থানার পাশের মাঠটি দখল করে ফুটবল খেলে রোহিঙ্গারা। সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে মাঠ পুনর্দখল করা হয়। এ সময় ‘উখিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়’ খেলার মাঠ থেকে আটক হয় ৫০ জন রোহিঙ্গা।
উখিয়া হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, আমি সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় উপজেলা মাঠের সামনে কিছু স্থানীয় যুবক তাকে জানান শতাধিক রোহিঙ্গা তাদের খেলার মাঠটি দখল করে নিয়ে ফুটবল খেলছে। রোহিঙ্গাদের কারণে তারা খেলতে পারছে না।
পরে তিনি মাঠে ঢুকে খেলোয়াড়দের জিজ্ঞাসা করলে তারা রোহিঙ্গা বলে পরিচয় দেন। এই ইউপি চেয়ারম্যান আরও বলেন, বাংলাদেশি কোনো নাগরিক উখিয়ার মধ্যে চলাফেরা করতে চাইলে ৪-৫টি চেকপোস্ট পার করতে হয়। আর এরা কীভাবে ক্যাম্প থেকে বের হলো সেটি বড় প্রশ্ন? রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয় খেলোয়াড়রা মাঠে খেলতে পারছে না।
স্থানীয় মো. হাসান নামের এক কিশোর জানান, তারা নিয়মিত উখিয়া মাঠে খেলত। কিন্তু কিছুদিন ধরে রোহিঙ্গারা তাদের খেলতে দিচ্ছে না। রোহিঙ্গারা তাদের হুমকি দিয়ে ও ভয় দেখিয়ে মাঠে ঢুকতে দেয় না।
স্থানীয়রা জানান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী খবর দিলে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে আসেন।
সন্ধ্যায় ৫০ জন রোহিঙ্গাকে আটক করে উখিয়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। আটককৃত রোহিঙ্গারা বালুখালী বিভিন্ন ক্যাম্পের বলে জানা গেছে।
উখিয়া নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইমরান হোসাইন সজীব জানান, হলদিয়াপালংয়ের ইউপি চেয়ারম্যান আমাকে অবগত করলে আমি নিজেই ঘটনাস্থলে এসে রোহিঙ্গাদের আটক করে থানায় হস্তান্তর করি। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রোহিঙ্গারা ক্যাম্প থেকে কীভাবে বের হলো সেটিও দেখা হচ্ছে।
বুইউ