রাস্তার নির্মাণকাজে অনিয়মের অভিযোগে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেয়ায় রাজশাহীর বাঘায় আওয়ামী লীগ নেতার ছেলের মারধরের শিকার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী ফরিদ আহম্মেদ।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলা সদরে নিজ দফতরে হামলার শিকার হন তিনি।
বাঘা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কুদ্দুস সরকারের ছেলে সেলিম আহম্মেদ প্রকৌশলী ফরিদ আহম্মেদের ওপর এ হামলা চালায়।
জানা গেছে, ৩৮ লাখ ৩৪ হাজার টাকা ব্যয়ে উপজেলার হাবাসপুর এলাকায় ৫০০ মিটার সাব-বেইজ রাস্তা নির্মাণকাজ চলছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কার্যাদেশ পায় রাজশাহীর ‘মম এন্টারপ্রাইজ’। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের হয়ে বাঘা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কুদ্দুস সরকার এ কাজ করছিলেন। পুরো কাজ দেখভাল করছিল তার বড় ছেলে সেলিম আহাম্মেদ।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, শুরু থেকেই রাস্তা নির্মাণকাজে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করছিল ঠিকাদার। বিষয়টি রবিবার সকালে উপজেলা প্রকৌশলীকে জানায় এলাকাবাসী। অভিযোগ পেয়ে সকালে ঘটনাস্থলে আসেন উপসহকারী প্রকৌশলী ফরিদ আহাম্মেদ। অনিয়মের প্রমাণ পেয়ে তিনি নির্মাণকাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়ে ফিরে যান।
খবর পেয়ে ঠিকাদার আবদুল কুদ্দুস সরকারের ছেলে সেলিম উপসহকারী প্রকৌশলীর দফতরে যান। কাজ বন্ধ করায় সে ওই প্রকৌশলীর ওপর চড়াও হয়। একপর্যায়ে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। অফিসের অন্য কর্মীরা এসে ফরিদকে রক্ষা করেন। পরে সেলিমের বিচার দাবিতে বিক্ষোভও করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
জানতে চাইলে প্রকৌশলীকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে সেলিম আহাম্মেদ।অন্যদিকে রাস্তা নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেন তার বাবা আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল কুদ্দুস সরকার।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা প্রকৌশলী রতন কুমার জানান, বেআইনিভাবে সরকারি কর্মকর্তার ওপর হামলা হয়েছে। এটা গুরুতর অপরাধ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আগামী নিউজ/এসএম/এনএনআর