ঝিনাইদহঃ ঢাকা বোর্ডে এইচএসসি বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষায় সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক প্রশ্নপত্র তৈরি করা কলেজ শিক্ষক প্রশান্ত কুমার পালকে মঙ্গলবার দুপুর থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ঘটনাটি নিয়ে দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনা ও তদন্ত কমিটি গঠনের মধ্যে গা ঢাকা দিয়েছেন ওই শিক্ষক।
প্রশান্ত কুমার পাল ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ডা. সাইফুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক। মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সকালে কলেজে এলেও পরে তাকে আর পাওয়া যায়নি। এমনকি তার বাড়ি পার্শ্ববর্তী যশোরের চৌগাছা উপজেলার হাজরা খানা গ্রামে গিয়েও দেখা মেলেনি তার। বাড়িতে বৃদ্ধ মা আর ভাই ছাড়া কাউকেই পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে তীব্র নিন্দাও জানিয়েছেন ওই কলেজের শিক্ষকরা।
কলেজের অধ্যক্ষ বলাই চন্দ্র পাল বলেন, প্রশান্ত কুমার পাল সকালে কলেজে এসেছিলেন, এরপর চলে গেছেন। সেই থেকে তার মোবাইল বন্ধ। তার বিরুদ্ধে সরকার যে ব্যবস্থা নিবে আমি তা কর্যকর করব।
অধ্যক্ষ আরো বলেন, প্রশান্ত কুমার পাল একজন ভালো শিক্ষক। তবে প্রশ্নের একটি অংশে যেভাবে সাম্প্রদায়িক উসকানি দেওয়া হয়েছে তা তার কাছ থেকে কারও কাম্য নয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
এদিকে প্রশান্ত কুমার পাল ঝিনাইদহের একটি কলেজের শিক্ষক - এমন খবর জানা জানাজানির পরে সাধারণ মানুষের মাঝে তোলপাড় শুরু হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা খুঁজে বের করার জন্য দাবি তুলেছেন তারা। এ ঘটনার জন্য বোর্ড কতৃপক্ষকেও দায়ী করেছেন অনেকে।
প্রশ্নপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষার সঙ্গে জড়িতরা দায় এড়াতে পারে না বলে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা দাবি তুলেছেন।
কী আছে প্রশ্নে
প্রশ্নের উদ্দীপক অংশে বলা হয়, ‘নেপাল ও গোপাল দুই ভাই। জমি নিয়ে বিরোধ তাদের দীর্ঘদিন। অনেক সালিশ-বিচার করেও কেউ তাদের বিরোধ মেটাতে পারেনি। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। এখন জমির ভাগ-বণ্টন নিয়ে মামলা চলছে আদালতে। ছোট ভাই নেপাল বড় ভাইকে শায়েস্তা করতে আব্দুল নামে এক মুসলমানের কাছে ভিটের জমির এক অংশ বিক্রি করে। আব্দুল সেখানে বাড়ি বানিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। কোরবানির ঈদে সে নেপালের বাড়ির সামনে গরু কোরবানি দেয়। এই ঘটনায় নেপালের মন ভেঙে যায়। কিছুদিন পর কাউকে কিছু না বলে জমি-জায়গা ফেলে সপরিবারে ভারতে চলে যায় সে।’
বুইউ