ঢাকাঃ না জানিয়ে বিয়ে করায় প্রেমিকের বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন সাভার গণবিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় তার প্রেমিক ফিরোজ আলম (৩১) আটক করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
বুধবার (৫ অক্টোবর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম।
এর আগে বুধবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে আশুলিয়ার পূর্ব ডেন্ডাবর এলাকার ইকবাল হোসেনের মালিকানাধীন বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই শিক্ষার্থীর নাম নুসরাত মীম (২৬)। তিনি সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ থানার দেহেরগতি এলাকায়। তার বাবার নাম মৃত শাহজাহান তালুকদার।
ফিরোজ আলম ঢাকার দোহার থানার রাধানগর গ্রামের মো. ওমর আলীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন চিকিৎসক৷ আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানায় মেডিকেল অফিসার হিসেবে কাজ করেন।
আশুলিয়া থানা পুলিশ জানায়, নিহত মীমকে না জানিয়ে তার প্রেমিক ফিরোজ ছয় মাস আগে অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করেন এবং আশুলিয়ার পূর্ব ডেন্ডাবর এলাকার স্থানীয় ইকবাল হোসেনের মালিকানাধীন বাড়ির ষষ্ঠ তলার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। মাঝেমধ্যে সেখানে তার স্ত্রীও আসতেন। সম্প্রতি বিষয়টি জানতে পারেন মীম।
পরে বুধবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে সেই ফ্ল্যাটে গিয়ে উপস্থিত হন তিনি। সেখানে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি শুরু হলে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ফিরোজ তাকে কক্ষে রেখে বারান্দায় গিয়ে মোবাইলে কথা বলতে যান। এসময় নুসরাত বারান্দার দরজা আটকে নিজের ওড়না দিয়ে ফ্যানের সাথে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে ফিরোজ মুঠোফোনে পুলিশকে বিষয়টি জানান। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে নুসরাতের মরদেহ উদ্ধার করে ও ফিরোজকে আটক করে।
আশুলিয়া থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থল থেকে ওই শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবার আত্মহত্যার প্ররোচণায় আটক ফিরোজের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে।
এমবুইউ