এসএসসির প্রশ্নফাঁস, প্রধান শিক্ষক ৩ দিনের রিমান্ডে

জেলা প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২, ০১:৩১ পিএম

কুড়িগ্রামঃ জেলার ভূরুঙ্গামারীতে এসএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব মো. লুৎফর রহমানের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সুমন আলী রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আজহার আলী প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমানের তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আজহার আলী বলেন, আজ রিমান্ড আবেদনের শুনানি ছিল। প্রশ্ন ফাঁসের মামলায় লুৎফর রহমানের তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলাম আমরা। বিজ্ঞ আদালত শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও যারা জড়িত আছেন তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।

এদিকে প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের তদন্ত কার্যক্রম শেষ করেছে বলে জানা গেছে। তবে কমিটি এখনও বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়নি বলে জানিয়েছেন ওই শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. কামরুল ইসলাম।

প্রফেসর কামরুল ইসলাম বলেন, ‘তদন্ত কমিটি তাদের তদন্ত কার্যক্রম শেষ করেছে। তবে এখনও প্রতিবেদন জমা দেয়নি। তারা প্রতিবেদন প্রস্তুত করছেন। দুই-একদিনের মধ্যে তারা প্রতিবেদন জমা দেবেন।’

প্রসঙ্গত, চলমান এসএসসি পরীক্ষায় গত ২০ সেপ্টেম্বর ইংরেজি দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষার দিন ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রশ্নফাঁসের ঘটনা ঘটে। ওই কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. লুৎফর রহমানের কক্ষ থেকে ছয় বিষয়ের প্রশ্নপত্র উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পর গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান, কৃষি ও রসায়ন– এই চার বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিতসহ ছয় বিষয়ের প্রশ্ন বাতিল করে শিক্ষা বোর্ড। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. লুৎফর রহমান, ওই বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক আমিনুর রহমান রাসেল, ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক জোবায়ের হোসেন এবং অফিস সহকারী আবু হানিফের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১০-১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কমিটি। এ ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমানসহ পাঁচ শিক্ষক ও এক পিয়নকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পলাতক রয়েছে অফিস সহকারী আবু হানিফ।

এমবুইউ