ঢাকাঃ রাজধানীর উত্তরায় নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের গার্ডার পড়ে নিহত প্রাইভেটকারের পাঁচ যাত্রীর মধ্যে চার জনের দাফন জামালপুরের বাড়িতে সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন সম্পন্ন হয়।
জেলার মেলান্দহ উপজেলায় মাহমুদপুর ইউনিয়নের আগপয়লা গ্রামে ঝরনা বেগম এবং তার ছয় বছরের মেয়ে জান্নাত এবং দুই বছরের ছেলে জাকারিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়। পার্শ্ববর্তী ইসলামপুর উপজেলার পাথর্শী ইউনিয়নের ঢেংগারপাড়া গ্রামে ঝরনার বড় বোন ফাহিমা বেগমকে জানাজা শেষে দাফন করা হয়।
এর আগে নিহতদের লাশ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে স্বজন ও প্রতিবেশীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। নিহত ঝরনার স্বামী জাহিদ হাসান এই ঘটনার বিচার ও ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।
উল্লেখ্য, সোমবার ফাহিমার মেয়ে রিয়া মণির বৌভাত অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠান শেষে বর হৃদয়ের বাবা রুবেল মিয়া প্রাইভেটকার চালিয়ে আশুলিয়ার খেজুর বাগান এলাকায় ছেলের শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলেন। এ সময় প্রাইভেটকারে ছিলেন বর হৃদয়, কনে রিয়া, রিয়ার মা ফাহিমা, রিয়ার খালা ঝরনা এবং ঝরনার দুই সন্তান জান্নাত ও জাকারিয়া। পথে উত্তরার জসিমউদ্দিন এলাকায় পৌঁছালে বিআরটি প্রকল্পের একটি গার্ডার ক্রেন থেকে প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে নবদম্পতি হৃদয় ও রিয়া ছাড়া সবার মৃত্যু হয়।
এমবুইউ