নেত্রকোণা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পরবর্তী প্রজন্মকে উজ্জীবিত করতে মঙ্গলবার ঐতিহাসিক নাজিরপুর দিবস উপলক্ষে আবারও হাঁটলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বিমল পাল। জানা যায়, “ উদয়ের পথে শুনি কার বাণী, ভয় নাই ওরে ভয় নাই, নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান, ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই ” কবির এই মর্মবাণীকে ধারণ করে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের সংগঠন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নেত্রকোণা জেলা ইউনিট কমান্ড, কলমাকান্দা উপজেলা ইউনিট কমান্ড ও বীর মুক্তিযোদ্ধা’র সন্তানসহ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল শ্রেণি পেশা মানুষ নিয়ে নেত্রকোণা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ ঐতিহাসিক নাজিরপুর যুদ্ধ দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করে। এরই মাঝে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পরবর্তী প্রজন্মকে উজ্জীবিত করতে মঙ্গলবার ঐতিহাসিক নাজিরপুর দিবস উপলক্ষে আবারও হাঁটলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বিমল পাল। তিনি নেত্রকোণা পৌর শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে ভোর ৪টা ২০মিনিটে হাঁটা শুরু করে সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে জেলার কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর স্মৃতিসৌধ হয়ে সীমান্তবর্তী নেত্রকোণা থেকে প্রায় ৩৮ কিঃমিঃ দূরবর্তী এলাকা লেঙ্গুরা সাত শহীদদের সমাধীস্থলে গিয়ে পৌঁছেন।
আরো জানা যায়, ১৯৭১ সালে ২৬ জুলাই পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে নেত্রকোণা জেলার কলমাকান্দা উপজেলাধীন নাজিরপুরে সম্মুখ যুদ্ধে নেত্রকোণার শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ আব্দুল আজিজ, নেত্রকোণার শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক, মুক্তাগাছার শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়ার মাহ্মুদ, মুক্তাগাছার শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ভবতোষ চন্দ্র দাস, মুক্তাগাছার শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুজ্জামান, মুক্তাগাছার শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা দ্বিজেন্দ্র চন্দ্র বিশ্বাস, জামালপুরের শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা জামাল উদ্দীন এই সাত বীর মুক্তিযোদ্ধা তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। ঐতিহাসিক নাজিরপুর যুদ্ধ দিবসে অকুতোভয় সেই বীর শহীদগণের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বীর মুক্তিযোদ্ধা বিমল পাল আবারও হাঁটলেন।
তিনি জানান, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পরিচ্ছন্ন মানসিকতাসম্পন্ন তরুণ প্রজন্ম বিনির্মাণে এবং আদর্শবান দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরীতে নেত্রকোণা শহীদ মিনার হতে পদযাত্রা শুরু করে নাজিপুর স্মৃতিসৌধ হয়ে সীমান্ত এলাকা লেঙ্গুরায় অবস্থিত সাত শহীদ সমাধিস্থলে গিয়ে পৌঁছেন। পদযাত্রা শুরু ও শেষ সময়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা, বীর মুক্তিযোদ্ধা’র সন্তানসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
সালাহ উদ্দীন খান রুবেল/এমবুইউ