টাঙ্গাইলঃ দুইটি উপজেলায় বাঁধ ও সড়ক ভেঙে প্রায় ২০টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও সড়ক পথে যাতায়াতও বন্ধ রয়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন অসংখ্য মানুষ। কালিহাতী উপজেলার আনালিয়াবাড়ী এলাকায় বাঁধ ও বাসাইল উপজেলার আন্ধিরাপাড়া-বালিনা সড়কের বালিনা উত্তরপাড়া এলাকায় সড়কটি ভেঙে যায়। সকল নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে এসব এলাকার ঘর-বাড়ী, ফসলী জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা। পানি বন্ধি হয়ে পরছে মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, গত দুইদিন ধরে বাসাইল উপজেলা আন্ধিরাপাড়া-বালিনা সড়কের বালিনা উত্তরপাড়া এলাকার সড়কটির ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। পরে অতিরিক্ত স্রােতের কারণে সড়কটি ভেঙে যায়। এছাড়াও রবিবার সকালে আন্ধিরাপাড়ায় আরও তিনটি স্থানে সড়ক ভেঙে যায়। দুইদিনে প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করে উপজেলার বালিনা, আন্ধিরাপাড়া, আদাজান, কাঞ্চনপুর ও কোদালিয়াপাড়াসহ কয়েকটি এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতও বন্ধ রয়েছে। ফলে কয়েকটি গ্রামের মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিকল্প হিসেবে মানুষ নৌকা দিয়ে যাতায়াত করছে।
এদিকে, কালিহাতী উপজেলার আনালিয়াবাড়ী এলাকায় বাঁধটি ভেঙে যায়। ফলে এ বাঁধ দিয়েও বর্তমানে যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। পানির অতিরিক্ত চাপের কারণে বাঁধটি ভেঙে গেছে। একারণে উপজেলার আনালিয়াবাড়ী, ভাওয়াল, নরদৈ, গড়িয়া, হাবলা, দেওলাবাড়ীসহ ১০ থেকে ১২ টি গ্রামের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি পোড়াবাড়ী পয়েন্টে ৩০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, ঝিনাই নদীর পানি জোকারচর পয়েন্টে ১৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও ধলেশ্বরী নদীর পানি এলাসিন পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার মাত্র ৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
শফিকুজ্জামান খান মোস্তফা/এমবুইউ