ইপিজেড শ্রমিক ও নিম্ন আয়ের মানুষকে অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে কোটি কোটি টাকার আমানত সংগ্রহ এবং অর্থ আত্মসাৎ করছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাড়ে ৮ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে রূপসা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে।
এ ঘটনায় হতাশা এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে ইপিজেড শ্রমিক ও নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে।
রূপসা কিং গ্রুপের প্রতিষ্ঠান এই মাল্টিপারপাস প্রতিষ্ঠানটি অবৈধভাবে কয়েকজন ব্যক্তির প্রায় ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দায়ের হলে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশের সিরিয়াস ক্রাইম ডিভিশনের একটি ইউনিট এই মাল্টিপারপাস কোম্পানির কার্যালয়ে অভিযান চালায়।
অভিযানে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) গভীর রাত পর্যন্ত প্রায় ৮ কোটি ৪২ লাখ নগদ টাকা উদ্ধার করা হয় ওই কার্যালয় থেকে। অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইপিজেড থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নুরুল হুদা।
প্রতিষ্ঠানটির মালিক লায়ন মো. মুজিবুর রহমান এবং ভাইস চেয়ারম্যান মুছা হাওলাদার। প্রতিষ্ঠানের রয়েছে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী। ইপিজেড সংলগ্ন এলাকায় কার্যালয় স্থাপন করে প্রতিষ্ঠানটি ইপিজেডের বিভিন্ন কারখানার নিম্ন আয়ের শ্রমিক, ফুটপাতের ব্যবসায়ী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণির নিম্ন আয়ের মানুষের কাছ থেকে ডিপিএস নাম দিয়ে আমানত সংগ্রহ করে আসছে।
কারো কাছ থেকে এক লাখ, কারো কাছ থেকে পাঁচ লাখ এবং সর্বনিম্ন ১০-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত আমানত নিয়ে তারা এসব টাকা আত্মসাতের প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছিল বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ জমা হয়।
সর্বশেষ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে মঙ্গলবার বিকাল থেকে এই প্রতিষ্ঠানে অভিযান শুরু করে ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ টিম। অভিযানে এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ৪২ লাখ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এ সময় আটক করা হয় প্রতিষ্ঠানের তিন কর্মকর্তাকে। পুনরায় ম্যাজিস্ট্রেট সঙ্গে নিয়ে অভিযান চলবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার মাহবুবুর রহমান বিপিএম পিপিএম জানান, ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশ এই অভিযান পরিচালনা করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে। অভিযানে সিএমপির ইপিজেড থানা পুলিশ সঙ্গে আছে। অভিযান সম্পন্ন হলে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানান যাবে।
আগামী নিউজ/এসএম/এনএনআর