সংযোগ সড়কহীন ব্রিজে গাছ-লতাপাতার জঞ্জাল

উপজেলা প্রতিনিধি, মধুখালী (ফরিদপুর) জুন ১৭, ২০২২, ০৩:২৭ পিএম

ফরিদপুরঃ মধুখালী পৌরসভায় প্রায় ২৫ থেকে ৩০ বছর ধরে সংযোগ সড়কবিহীন পড়ে রয়েছে ছোট্ট একটি ব্রিজ। যা মানুষের কোনো কাজেই আসছে না। ফরিদপুর চিনিকল কর্তৃপক্ষ ব্রিজটি নির্মাণ করলেও এর সঠিক তথ্য-উপাত্তও কারো কাছে নেই। এক প্রকার বেওয়ারিশ হয়েই পড়ে আছে ব্রিজটি। দূর থেকে দেখলে মনে হয় ছোট-খাট জংলা।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মধুখালী পৌরসভার আঁখচাষিদের সুবিধার জন্য ২৫ থেকে ৩০ বছর আগে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আসামিপাড়া ও বনমালিদিয়া দুটি গ্রামের সংযোগ হিসেবে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। মধুখালী চিনিকলের নিজস্ব অর্থায়নে চিনিকল কর্তৃপক্ষ পরিকল্পনা ছাড়াই নির্মাণ করে ব্রিজটি। কিন্তু দুঃখের বিষয় দীর্ঘ এতো বছরেও দুই গ্রাম থেকে কোনো সংযোগ সড়ক এখনও যুক্ত হয়নি। যার কারণে দুই গ্রামবাসী ব্রিজটি ব্যবহারও করতে পারছেন না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে এভাবে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকায় ব্রিজে জংলা সৃষ্টি হয়েছে। কলা গাছ, আগাছা জমেছে। দূর থেকে মনেই হয় না এখানে কোনো স্থাপনা রয়েছে।

এ ব্যাপারে ফরিদপুর চিনিকলের শ্রমজীবি ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ব্রিজটি অনে আগের করা। তখন আমার চাকুরি হয়নি। এখন এটা পুরোপুরি পরিত্যক্ত একটি ব্রিজ। এটা মানুষের কোনো কাজে আসে না। আর প্রয়োজনও নেই। তবে অনেক আগের এতো সব বিস্তারিত তথ্য মিলেও রয়েছে কিনা বলা মুশকিল। 

বনমালিদিয়া এলাকার প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও মধখালী প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা হাজী আবদুল মালেক সিকদার বলেন সুগার মিলের থেকে ব্রিজটি ৯০ সালের দিকে করা। উদ্বোধন দেরিতে হওয়ার করানে ব্রিজ সংলগ্ন জমিদাতারা পরে জমি দিতে অপরাগতা প্রশন করায় ব্রিজটি আর কাজে আসে নি। তখন তৎক্ষনিক রাস্তাটি হয়ে গেলে আজ জনগন সুফল পেত।

মধুখালী পৌরমেয়র খন্দকার মোরশেদ রহমান লিমন বলেন, প্রায় ৩০ বছর আগের ব্রিজ। এ সম্পর্কে খোঁজ খবর, তথ্য উপাত্ত না জেনে কিছু বলা সম্ভব নয়।

মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। রাস্তা তৈরি না করে কেন ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে তাও জানা নেই। এটি যেহেতু পৌরসভার অভ্যন্তরে, এর দেখভালের দায়িত্ব মেয়রের।

সালেহীন সোয়াদ সাম্মী/এমবুইউ