কুড়িগ্রামে চরের সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দী

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুড়িগ্রাম জুন ১৭, ২০২২, ০৮:৪১ এএম

কুড়িগ্রামঃ পানি কমতে থাকায় পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে কাঁচা-পাকা সড়ক এখনও জলমগ্ন থাকায় যোগাযোগ নিয়ে ভোগান্তি কমেনি বন্যার্তদের। এখনও ৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে পানি থাকায় পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। প্রায় দু হাজার হেক্টর জমির ফসল বন্যার পানিতে তলিয়ে রয়েছে। 

এদিকে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি দ্রুত বাড়তে থাকায় চরান্চের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এ দুটি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার খুব কাছে অবস্থান করছে। ফলে সদর, উলিপুর, চিলমারী ও রৌমারীর চরাঞ্চলের সহস্রাধিক পরিবারের বাড়িঘরে পানি উঠেছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে অন্তত ৫ হাজার মানুষ। ডুবে গেছে চরের সড়ক। আমন বীজতলা, পাট, সবজি ও ভুট্রাসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কয়েকটি এলাকায় দেখা দিয়েছে ভাঙন। রাজারহাট উপজেলার জয়কুমরে জিওব্যাগ ধ্বসে যাওয়ায় ভাঙনের আতংকে রয়েছে গ্রামবাসী। সদর উপজেলার সারডোর, বড়াইবাড়িসহ কয়েকটি এলাকায় নদীর ভাঙনে আবাদী জমি বিলীন হচ্ছে। 

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর জানান, পোড়ার চর ও তিন হাজারির চরে শতাধিক ঘরবাড়িতে পানি ওঠা ছাড়াও চরের পাট, তিল, বীজতলাসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। 

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার রাসেদুল হাসান জানান, কয়েকটি চরের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়ে কিছু বাড়িঘরে পানি উঠেছে। পানি আরো বাড়লে ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতা নিয়ে সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় ব্রহ্মপুত্রের বিপৎসীমার ৩৭ ও ধরলার পানি বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়নের বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান জানিয়েছেন, ধরলার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এছারা ভাঙনপ্রবণ এলাকাগুলোকে সার্বক্ষনিক নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

শাহীন আহমেদ/এমবুইউ