চাঁদপুরঃ শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘জনশুমারির মাধ্যমে শিক্ষার হারের সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যাবে এবং সারাদেশের একটি সঠিক চিত্র আমাদের হাতে আসবে। কতজন মানুষ নিরক্ষর রয়েছে, কতজন শিক্ষিত হয়েছে এবং তাদের আর্থ-সামাজিক যে অবস্থান আমরা পাবো, সেটা নানা কর্মপরিকল্পনা গ্রহণে সহায়ক হবে।’
বুধবার (১৫ জুন) সকাল ৮টায় চাঁদপুরে ষষ্ঠ ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, এই প্রথমবার দেশে ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনশুমারি হচ্ছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে হওয়ার কারণে এর যত তথ্য সংগৃহীত হবে তার ব্যবহার তত সহজ হয়ে যাবে। জনশুমারির মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বের করে নেওয়া এবং গবেষণা করা অনেক বেশি সহজ হবে।
তিনি বলেন, মূলত জনশুমারি দেশে কত মানুষ আছেন বা তারা কী করেন শুধু তার একটি সংখ্যা জানা নয়; জনশুমারি দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনার অন্যতম হাতিয়ার। এই সংখ্যা বা পরিসংখ্যান না থাকলে যথাযথ পরিকল্পনা করা সম্ভব হয় না এবং সে কারণেই জনশুমারি করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যেভাবে অপ্রতিরোধ্যভাবে এগিয়ে চলছে সেই অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এবং তা আরো বেগবান করার জন্য এই জনশুমারিতে প্রাপ্ত তথ্য কাজে লাগবে। তাই আমি আশা করি চাঁদপুরসহ দেশের সবাই এবং প্রত্যেকটি থানার সবাই তাদের সঠিক তথ্য দিয়ে এই জনশুমারিতে যে সকল স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন তাদেরকে সহযোগিতা করবেন এবং দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করবেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নাঈমা রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আসিফ মহিউদ্দীন, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম রোমান, চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. আব্দুর রশিদ, পুরান বাজার ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদারসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, চাঁদপুরে ৫২ জন জোনাল ও ৫২ জন আইটি অফিসার এবং সাত হাজার সুপারভাইজার ও গণনাকারী জনশুমারিতে কাজ করছেন।
এমবুইউ