ফরিদপুরঃ জেলার সরকারী শ্লোগান ‘সোনালী আঁশে ভরপুর ভালোবাসি ফরিদপুর’ খ্যাত ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলাতে চলতি বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পরিমানে পাটের চাষ হয়েছে। উপজেলার সকল ইউনিয়ন এলাকার মাঠে পাট দেখলে বোঝা যায় ফলন কেমন হবে। জমিতে যে রকম ভাবে পাট গাছ দাঁড়িয়ে আছে তাতে কৃষকের মন জুড়িয়ে যায়। ইতিমধ্যে সব এলাকার জমিতে পাট ৪/৫ ফুট লম্বা হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে পাট পরিপক্ক হলে কৃষকেরা বাছপাট কাঁটতে শুরু করবে। পাট চাষীরা নিজস্ব উদ্যোগে জমিতে সেচের ব্যবস্থা করে আগাম পাট বীজ বপন করেন। সে কারনেই মন জুরানো মাঠের পর মাঠ সোনালী আশ পাট সবুজে ভরপুর।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর ৮ হাজার ৬শত হেক্টর জমিতে পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। আবাদ হয়েছে ৮ হাজার ৫ শত ৫৫ হেক্টোর। পাট বপনের পর অনুকুল আবহাওয়া ও সময়মত বৃষ্টি পাওয়ার কারনে পাটের আকার এবং আঁশের পরিপক্কতা ভালো হবে। পাট পঁচানোর জন্য সময়মত পানি হলে এ বছর পাটের ফলন হবে আশাব্যঞ্জক।
উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ব্যাসদী, লক্ষীনায়রনপুর, রায়পুর, গোপালদি মেগচামী ইউনিয়নের মেগচামী মাঠ, নরকোনা মাঠ, কলাগাছি মাঠ, গাজনা ইউনিয়নের মথুরাপুর মাঠ, কোরকদি মাঠ, আড়পাড়া মাঠ, নওপাড়া মাঠ এলাকায় দেখা যায় প্রচুর পরিমানে পাটের চাষ হয়েছে। পাট দেখলে মন ভরে যায়।
কৃষকেরা জানান, সময়মতো পানি হলে পাট পঁচাতে কৃষকের সমস্যা হবে না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আলভীর রহমান বলেন, চলতি বছর আবহাওয়া পাট চাষের উপযোগী হওয়ায় এ বছর পাটের বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ৮ হাজার ৬শ থাকলেও পাট বীজ বপন হয়েছে ৮ হাজার ৫শ ৫৫ হেক্টোর জমিতে। যা গতবারের চেয়ে ২ হেক্টর পরিমান বেশি কৃষকের আগ্রহ আর আমাদের প্রচেষ্ঠায় আজকের এ অবস্থান। এ ছাড়া গত বছর পাটচাষীরা পাটের দাম ভালো পাওয়ায় এ বছর চাষীরা পাট চাষে আগ্রহী হয়েছে। দাম ভালো পেলে কৃষকের উপকার হবে। আল্লাহ রহমত যদি থাকে যথা সময়ে পাট পচানোর জন্য পানির ব্যবস্থা হলেই হবে।
সালেহীন সোয়াদ সাম্মী/এমবুইউ