বগুড়াঃ আজ (৩১ মে) বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস। তামাক ব্যবহারের কুফল সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে প্রতিবছর পালিত হয় বিশ্বব্যাপী এইদিন। দিবসটি কে ঘিরে অনুষ্ঠিত হওয়া বিভিন্ন সভা সেমিনারের আলোচনায় উঠে আসে ধূমপানসহ তামাকজাত দ্রব্য গ্রহনের ফলে মানব শরীরে সৃষ্ট হওয়া বিভিন্ন রোগ ও এর প্রভাবে সমাজ বিনষ্ট হওয়ার কথা। বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবসেও দুপচাঁচিয়ার বিভিন্নস্থানে প্রকাশ্যে বিক্রি হতে দেখা গেছে তামাকজাত দ্রব্য।
দুপচাঁচিয়া উপজেলার বিভিন্নস্থানে সিগারেট বিক্রির সহজলভ্যতার কারনে অল্পবয়সীরাও আকৃষ্ট হচ্ছে ধূমপানে ।
উপজেলা সদরের বিভিন্ন অফিস আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামানেই মুদি দোকান, চায়ের দোকান এবং কনফেকশনারীর দোকানগুলিতে অহরহ বিক্রি হচ্ছে বিড়ি সিগারেট। তাছাড়া গ্রামগঞ্জের বিভিন্ন লোকালয়ের দোকানগুলিতেও নিয়মিত বিক্রি হয় তামাকজাত দ্রব্য।
তবে, তামাক বিরোধী আইন ' ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার ( নিয়ন্ত্রন) আইন - ২০০৫ এর কার্যকর প্রয়োগের অভাবে তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার বাড়ছে বলে মনে করেন দুপচাঁচিয়ার সচেতন মহল । তামাকজাত দ্রবের ব্যবহার রোধে আইন প্রয়োগের দাবি করেন তারা।
বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসে ধুমপানে তরুন ও কিশোরদের ধুমপানে আসক্ত হওয়ার কারন জানতে আগামী নিউজের সাথে কথা হয় আদমদীঘি হাজী তাছের উদ্দিন মহিলা কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক শামশুজ্জামান সালামের সাথে।
প্রভাষক শামশুজ্জামান সালাম জানান, বড়দের প্রকাশ্য ধুমপান করা দেখে কিশোর বয়স থেকেই ছেলেরা ধুমপানে আসক্ত হয়। তাছাড়া যততত্র বিক্রি হওয়ায় বিড়ি সিগারেটের সহজলভ্যতাও অন্যতম কারন। কিশোর ও তরুন বয়সের আড্ডা থেকেও কুবুদ্ধিজনিত কারনে ধুমপানে আসক্ত হয় অনেকে। অনেকসময় চদকদারি বিজ্ঞাপনেও বিড়ি সিগারেটের প্রতি আকর্ষিত হচ্ছে কিশোর ও তরুন প্রজন্মের ছেলেরা। অনেকেই আবার আধুনিকতার ছোয়াঁর ধুমপান কে আকর্ষণীয় মনে করছে।
আগামী নিউজকে স্থানীয় চিকিৎসরা জানায়, ধুমপানের ফলে ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, যক্ষা,ব্রংকাইটিস, হাপানিসহ মানবদেহে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হয়। এমনকি ধুমপান মৃত্যূ পর্যন্ত ডেকে আনতে পারে।
উল্লেখ্য, বিশ্বে তামাক নিয়ন্ত্রন কার্যক্রম জোরদার করতে ১৯৮৭ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনে বছরের একটি দিন তামাকমুক্ত দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। প্রথম বছর ১৯৮৮ সালের ৭ এপ্রিল পালিত হলেও একই বছর বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনের সভায় প্রতিবছর ৩১ মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়। ১৯৮৯ সাল থেকে প্রতিবছর ৩১ মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত হয়ে আসছে।
দেওয়ান পলাশ/এমবুইউ