নীলফামারীঃ প্রতিষ্ঠার ৪৮ বছর পর সৈয়দপুরে মহিলা আওয়ামী লীগের প্রথম সম্মেলন হতে যাচ্ছে। আগামী ৬ জুন সম্মেলনের দিনক্ষণ ঠিক করা হয়েছে। গত ১৯ মে নীলফামারীতে অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। ওই সম্মেলনকে ঘিরে দলের ১৭ জন নারী নেত্রী পদ-পদবী পেতে দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন। আওয়ামী লীগ নেতাদের আশির্বাদ পেতে সকাল-বিকাল সম্ভাব্য নেত্রীরা তাদের ড্রয়িংরুমে যাওয়া আসা করছেন।সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকও সাংগঠনিক সম্পাদক পদ বাগাতেই তারা তৎপর রয়েছেন।
সভাপতি পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- পৌর মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবী, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সানজিদা বেগম লাকী ও মনিরা বেগম নীনা।
সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য দৌঁড়ঝাপে আছেন রাজিয়া সুলতানা, পৌর কাউন্সিলর কাজী জাহানারা ও মিনারা বেগম।
তিনটি সাংগঠনিক সম্পাদক পদের জন্য তদ্বির লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তরুলতা রায়, রাজিয়া আকতার, হাসিনা বেগম, মিনারা আকতার, প্রতিমা রানী রায়, বিন্দিয়া বেগম, সাবেক পৌর কাউন্সিলর কনিকা রাণী, মিমি আকতার, রুখসানা বেগম ও শামীমা আকতার।
সভাপতি পদের প্রার্থীদের মধ্যে মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবী ও ভাইস চেয়ারম্যান সানজিদা বেগম লাকী সুপরিচিত। তবে শিক্ষাগত যোগ্যতায় তাদের চেয়ে একধাপ এগিয়ে আছেন অপর সভাপতি প্রার্থী মনিরা বেগম নীনা। নীনা অর্থনীতিতে অনার্সসহ এমএ পাস করেছেন কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে। তিনি বর্তমানে নীলফামারী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক। তাছাড়াও নীনা ছাত্রী জীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে।
সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থী রাজিয়া সুলতানা রাজনৈতিক পরিবারের মেয়ে। তার বাবা অ্যাড. কামিজ উদ্দিন বিখ্যাত আইনজীবী ও এমপি ছিলেন। বিবাহিত জীবনে প্রয়াত এমপি আলীম উদ্দিন ও সংরক্ষিত আসনের এমপি রাবেয়া আলীমের একমাত্র পুত্রবধূ তিনি। এবং উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি প্রকৌশলী একেএম রাশেদুজ্জামান রাশেদের স্ত্রী। অপর প্রার্থী কাজী জাহানারা সৈয়দপুরের স্থানীয় মেয়ে। তার ১৪ গোষ্ঠির নাড়ী পোতা সৈয়দপুর শহরে। বর্তমানে তিনি সৈয়দপুর পৌরসভার সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর। এর আগেও তিনি পাঁচবার কাউন্সিলর হিসাবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছেন। মিনারা বেগমও সৈয়দপুর পৌর পরিষদের সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর ছিলেন।
মহিলা আ’লীগের নেত্রীর তকমা নিতে অদ্যাবধি ওইসব নারীদেরই নাম আপাতত আলোচনায় আছে। সবচেয়ে বেশি যারা আলোচনায় স্থান পাচ্ছেন তারা হলেন- ভাইস চেয়ারম্যান ও স্বচ্ছ ইমেজের অধিকারী সানজিদা বেগম লাকী, পৌর মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবী, মনিরা বেগম নীনা, কাজী জাহানারা, রাজিয়া সুলতানা, তরুলতা রায় ও কনিকা রানীর নাম। অন্যরাও স্বল্প পরিসরে আলোচনার টেবিলে স্থান পেয়েছেন। তবে সম্মেলনের দিনে ওইসব পদ প্রত্যাশীদের পদে পরিবর্তন আসারও জোর আলোচনা আছে চায়ের টেবিল ও ড্রইং রুমে। আগামী ৬ জুনের মহিলা আ’লীগের সম্মেলনে কেন্দ্রীয় সভাপতি সাফিয়া বেগম ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃক সহ আ’লীগ নেতারা উপস্থিত থাকবেন বলে মহিলা আ’লীগ নেত্রী ও ভাইস চেয়ারম্যান সানজিদা বেগম লাকী নিশ্চিত করেছেন।
এমবুইউ