পাবনাঃ অবশেষে দায়িত্ব ফিরে পেলেন রেলমন্ত্রীর তিন আত্মীয়কে বিনা টিকিটে ট্রেন ভ্রমণের দায়ে জরিমানা আদায়ের জন্য বরখাস্ত হওয়া সেই আলোচিত পাবনার ঈশ্বরদী স্টেশনের ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) শফিকুল ইসলাম।
বরখাস্ত প্রত্যাহারের দুইদিন পর টক অফ দ্যা কান্ট্রিতে পরিণত হওয়া এই টিটিই তার নিজ দায়িত্ব ফিরে পেলেন।
মঙ্গলবার (১০ মে) বেলা ১২টায় খুলনা থেকে চিলাহাটিগামী আন্তঃনগর ট্রেন রূপসা এক্সপ্রেসের ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) হিসেবে নিজের পালন শুরু করেন তিনি।
দায়িত্ব পালনের প্রথম দিনে তাকে বেশ উচ্ছ্বসিত দেখা গেছে। এদিন বেলা ১১টায় ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশনের টিটিই হেডকোয়ার্টারের নিজ কার্যালয়ে উপস্থিত হন তিনি। পরে স্টেশনমাস্টার তাকে দায়িত্ব বুঝে দিলে তিনি দায়িত্ব পালন শুরু করেন। গত রোববার তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হলেও এই দুই দিনে ট্রেনের টিকিট চেকিংয়ের জন্য দায়িত্ব পেয়েছিলেন না।
নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘রেলমন্ত্রী মহোদয় স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞ যে আমার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে তিনি প্রথম অবদান রেখেছেন। আমি দায়িত্ব পালনের শুরুতেই রেলমন্ত্রী স্যার ও আমাদের ডিআরএম স্যারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। আমি সাংবাদিক ভাইদের প্রতিও চির কৃতজ্ঞ।’
শনিবার (৭ মে) ঘটনার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। শুক্রবার (৬ মে) রেলমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দিয়ে বিনা টিকিটে রেল ভ্রমণ করায় তিন যাত্রীকে জরিমানা করায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয় খুলনা থেকে ঢাকাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেসের ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) শফিকুল ইসলামকে।
তার আগে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে খুলনা থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে বিনা টিকিটে এসি রুমে ওঠেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের আত্মীয় পরিচয়ে তিন যাত্রী। মাঝপথে তাদের বিনা টিকিটে রেলভ্রমণের দায়ে জরিমানা করে সাময়িক বরখাস্ত হন ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) শফিকুল ইসলাম। এ নিয়ে গণামাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় সৃষ্টি হয়।
এমএম