বগুড়াঃ ধান ঘরে তোলার মূহূর্তেই কালবৈশাখী ঝড়ের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধান ক্ষেত। বেশিরভাগ ক্ষেতে হেলে পড়েছে ধান গাছ । সেইসাথে অনেক ধানক্ষেতে আবার জমেছে হাঁটুজল। এমন অবস্থায় আবার যোগ হয়েছে ব্যাপক শ্রমিক সংকট। সবকিছু মিলিয়ে দিশেহারা দুপচাঁচিয়ার কৃষক।
কৃষকরা বলছে, দ্রুত ক্ষেতের পানিতে হেলে পড়া ধানগাছ থেকে ধান সংগ্রহ করতে না পারলে আরও বেশি ক্ষতির মুখে পড়ার সম্ভবনা রয়েছে। কিন্তু বেশি মজুরি দিয়েও ধানকাটার শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না।
দুপচাঁচিয়া উপজেলার আমশট্ট গ্রামের কৃষক নিবেশ চন্দ্র জানায়, প্রতি বিঘা (২৯ শতক) জমিতে অবস্থা ও দুরুত্বভেদে ধান কাটার জন্য ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা মজুরি দিতে হচ্ছে শ্রমিকদের। স্থানীয় মুষ্টিমেয় শ্রমিকের উপর'ই নির্ভর করতে হচ্ছে কৃষকদের। দেশের অন্য অঞ্চল থেকে শ্রমিকরা এখনও আসতে শুরু করেনি। এজন্য বেশি মজুরি দিয়েও স্থানীয় শ্রমিক পেতে কাড়াকাড়ি করছে কৃষকরা।
বাড়তি মজুরি সম্পর্কে জানতে কয়েকজন শ্রমিকের সংগে কথা বলে জানা গেছে, কৃষি শ্রমিকের সংখ্যা এখন খুব'ই নগন্য। বেশির ভাগ কৃষি শ্রমিক পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় যোগ দিয়েছে। কেবল বাড়তি মজুরির জন্যই অন্য পেশার লোকজন সাময়িকভাবে কৃষি শ্রমিক হিসাবে কাজ করছে।
দুপচাঁচিয়া জেকে কলেজের কৃষি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক কৃষিবিদ দিনেশ চন্দ্র বসাক বলেন, কয়েক বছর ধরে কৃষি সেক্টরে শ্রমিক তেমন জুটছে না। কৃষি কে বাঁচিয়ে রাখতে হলে যান্ত্রিক পদ্ধতি ব্যবহারে সুলভ মূল্যে হারভেস্টার মেশিন প্রদানে সরকার কে অধিক গুরুত্ব প্রদান করতে হবে।
দেওয়ান পলাশ/এমএম