দিনাজপুরঃ এক গরিব প্রতিবন্ধী দিনমুজুরের মেধাবী কন্যা মেডিক্যাল পরিক্ষায় মেধা তালিকায় পাবনা মেডিক্যেল কলেজে চান্স পেয়েও ভর্তির অনিশ্চয়তায় রয়েছে।
বীরগঞ্জ সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী কাহারোল উপজেলার কমলপুর গ্রামের গরিব প্রতিবন্ধী দিনমুজুরের মেধাবী কন্যা শারমিন আক্তার ২০২১-২২ এর মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে মেধা তালিকায় ৩২৮১তম হয়ে পাবনা মেডিক্যেল কলেজে চান্স পেলেও আর্থিক সচ্ছলতার অভাবে ভর্তি অনিশ্চিত দেখা দেওয়ায় হতাশায় ভুগছেন।
শারমিন আক্তার বীরগঞ্জের পার্শবতী দাউদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে ২০১৩ সালে ৫ম শ্রেণীতে জিপিএ ৫, বীরগঞ্জ সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হতে ২০১৯ সালে এসএসসিতে জিপিএ ৫ এবং দিনাজপুর সরকারী কলেজ হতে ২০২১ সালে এইচএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়ে মেধার পরিচয় জানিয়ে দিয়েছে।
শারমিন আক্তার জানায়, বাবা শহিদুল ইসলাম গরিব প্রতিবন্ধী ও দিনমুজুর, মা গৃহিনী, ভাই রাজমিস্ত্রির কাজ করে। ৩ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে সে ৪র্থ। বড় ৩ ভাই বোন বিয়ে করে আলাদা সংসার করে। তার পড়ালেখা প্রতিবন্ধী পিতা শহিদুল ইসলাম অতি কষ্টে চালায়, পাশাপাশি মা, ভাই, বোন, প্রতিবেশীরা এবং বিভিন্ন এনজিওর সহযোগিতায় সে পড়ালেখা করতে পেরেছে। তবে তাকে বেশী উৎসাহ দিয়েছে শিক্ষক ও সহপাঠিরা। মেডিক্যেলে ভর্তি পরিক্ষায় মেধা তালিকায় ৩২৮১ তম হয়ে পাবনা মেডিক্যেল কলেজে চান্স পেলেও বর্তমানে আর্থিক সচ্ছলতার অভাবে ভর্তিতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। সে ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা ও বাবা মায়ের মুখ উজ্জল করতে চায়।
দাউদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা জানায়, ছোট থেকে সে মেধাবী ও ভদ্র। কষ্টে মানুষ হওয়ায় সে জীবনের মুল্য বুঝবে। ডাক্তার হলে সে গরিবের জন্য কাজ করতে পারবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।
প্রতিবেশী নাজমুল হক পাবনা মেডিক্যেল কলেজে চান্স পাওয়া মেধাবী ছাত্রী শারমিন আক্তারের ভর্তি ও পড়ালেখায় পাশে দাড়ানোর জন্য সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহব্বান জানায়। তিনি শারমিন আক্তারের নগদ নাম্বার ০১৩১০১৬৫৯৯৬ এর মাধ্যমে সকলের কাছে সহযোগিতা কামনা করেন।
মো.নাজমুল হোসাইন/এমএম