প্রশাসনের হস্তক্ষেপে যাতায়াতের রাস্তা ফিরে পেল স্কুলের শিক্ষার্থীরা

নড়াইল প্রতিনিধি এপ্রিল ১১, ২০২২, ০১:৩৫ পিএম

নড়াইলঃ জেলার কালিয়া উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে স্কুলের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি ফিরে পেল কোমলমতি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা।

গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ‘‘স্কুলের যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে বেড়া দেওয়ার’’ শিরোনামে খবর ছাপা হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ও অত্র বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক এর দরখাস্তের পরিপেক্ষিতে কালিয়া উপজেলা প্রশাসন স্কুলের একমাত্র যাতায়াত রাস্তাটির ব্যবস্থা উন্মুক্ত করে দেন।

সোমবার (১১এপ্রিল) কালিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জহুরুল ইসলাম উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের পানিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য রাস্তা উন্মুক্ত করে দেন।

উল্লেখ্য যে, উপজেলার পানিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের রাস্তাটি টিনের বেড়া দিয়ে ঐ গ্রামের মৃত বাবন ঠাকুরের ছেলে মতিয়ার ঠাকুর বন্ধ করে দেন। এ ঘটনায় গত সোমবার (৪ এপ্রিল) ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খন্দকার ইকরামুল করিম রাস্তাটি মুক্ত করতে কালিয়ার ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগের বিবরণে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উল্লেখ করেন, ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত ওই বিদ্যালয়ে মোট ছয়জন দাতা ৫৪ শতাংশ জমি দান করেন। কিন্তু বর্তমানে মাত্র ১৪ শতাংশ জমি বিদ্যালয়ের আওতাধীন রয়েছে। বাকি জমি দাতাগণের ভোগ দখল আছে। বিদ্যালয়টিতে যাওয়া-আসার জন্য বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশ দিয়ে দাতা সদস্য পানিপাড়া গ্রামের মৃত বাবন ঠাকুরের ছেলে মতিয়ার রহমানের বাড়ির সামনে দিয়ে একট করোনার প্রভাবে গত প্রায় ২ বছর ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্ধ থাকার সুযোগে মতিয়ার রহমান স্কুলে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তার উপর টিন ও বাঁশের বেড়া তৈরি করে বন্ধ করে দেন। যে কারণে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একটি বসতবাড়ির ওপর দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। বর্তমানে ওই বাড়ির মালিকের আপত্তির কারণে সেটিও বন্ধ হওয়ার উপক্রম। সব মিলিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্কুলে প্রবেশের সব পথ বন্ধ হয়ে গেছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

এ বিষয়ে কালিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জহুরুল ইসলাম বলেন, গত ৪ এপ্রিল অত্র বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আমাদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন ও বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় এ সংক্রান্ত খবর ছাপা হলে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আজ সোমবার বিদ্যালয়ের এক যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি উন্মুক্ত করে দিয়েছি।

স্কুলের রাস্তারটি ফিরে পেয়ে শিক্ষার্থীরা-শিক্ষকবৃন্দ সাংবাদিক ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

বাবর আলী/এমএম