রোগীর স্বজনকে কুপিয়ে জখম: জামিন নিতে এসে কারাগারে যুবলীগকর্মী

নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রিল ৫, ২০২২, ১০:৪২ এএম
যুবলীগকর্মী দেবাশীষ নয়ন

ফরিদপুরঃ জেনারেল হাসপাতালে রোগীর স্বজনকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় করা মামলায় দেবাশীষ নয়ন নামে এক যুবলীগকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মামলার আরেক আসামি হাসপাতালের নার্স ইলা শিকদারের জামিন মঞ্জুর করা হয়।

সোমবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে জেলার ১ নম্বর আমলি আদালতের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফিকুর রহমান এ আদেশ দেন। দেবাশীষ নয়ন (৩২) ফরিদপুর পৌর শহরের দক্ষিণ ঝিলটুলী মহল্লার বাসিন্দা। তিনি ফরিদপুর যুবলীগকর্মী ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির সহ-সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।

ফরিদপুরের আলোচিত সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের বিরুদ্ধে দায়ের করা মানি লন্ডারিং মামলার আসামি জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ বিন ওয়াজেন ফাইনের আনুসারী ছিলেন দেবাশীষ। দেবাশীষের বিরুদ্ধে সালথা ও ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানা গেছে।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, ২১ দিনের আগাম জামিন শেষ হওয়ার পর সোমবার ইলা ও দেবাশীষ ফরিদপুরের এক নম্বর আমলি আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানান। আদালত দেবাশীষের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। তবে আদালত নার্স ইলার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।

সুমন রঞ্জন সরকার আরও বলেন, দেবাশীষকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে দ্রুত পুলিশের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হবে।

জানা যায়, ফরিদপুর শহরের হরিসভা এলাকার বাসিন্দা ফাহিম আহমেদের স্ত্রী হীরা বেগম ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাতে কর্তব্যরত নার্স ইলা শিকদারের সঙ্গে ফাহিম আহমেদের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে নার্স ইলা শিকদার দেবাশীষ নয়নকে খবর দিয়ে ডেকে আনেন। দেবাশীষ এসে ফাহিম আহমেদের বুকে ছুরিকাঘাত করেন। পরে ইলা ও দেবাশীষ পালিয়ে যান।

ফাহিম আহমেদকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কুপিয়ে জখমের ঘটনায় ফাহিম আহমেদ বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় নার্স ইলা শিকদার ও দেবাশীষ নয়নকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পরে নার্স ইলা শিকদার ও দেবাশীষ নয়ন উচ্চ আদালত থেকে ২১ দিনের আগাম জামিন নেন।

এমএম