শ্রম ও নিষ্ঠার কারণে মুরগির খামার দিয়েই জীবনে সুদিন ফিরেছে মাহাবুবুর রহমানের

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি মার্চ ২০, ২০২২, ১১:৩৩ এএম

যশোরঃ বেকারত্ব দূরীকরণসহ আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার অন্যতম মাধ্যম হিসেবে অনেকে এখন বিভিন্ন জাতের মুরগি পালনকে মনে করছেন। ঠিক তেমনি স্বল্প পুঁজিতে দীর্ঘ প্রবাস জীবন কাঁটিয়ে শ্রম ও নিষ্ঠার কারণে মুরগির খামার দিয়েই জীবনে সুদিন ফিরে এসেছে যশোরের শার্শা উপজেলার সূর্বণখালী গ্রামের মাহাবুবুর রহমানের।

দীর্ঘদিন মালয়েশিয়া কাঁটানোর পর ২০১৯ সালের প্রথম দিকে দেশে ফিরে আর্থিক সংকটে পড়ে যান মাহাবুবুর রহমান। হতাশায় না ভূগে ইউটিউবের ভিডিওতে দেশের বিভিন্ন স্থানে লেয়ার মুরগীর খামার দেখে এবং সে নিজেও লেয়ার মুরগীর খামার করতে আগ্রহী হয়ে উঠেন। এরপর শুরু করেন লেয়ার মুরগি পালন।
মাহাবুবুর রহমান তার নিজ বাড়িতে প্রথমে একটি মুরগির শেড তৈরি করে এক হাজার লেয়ার মুরগি পালন শুরু করেন। এরপর তার আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে তার দুইটি ভালমানের মুরগির শেড এবং ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় দুই হাজার ৫শ’ মুরগি রয়েছে। এখন তার ২ হাজার ৫শ’ মুরগি থেকে সে দৈনিক ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৩শত ডিম পেয়ে থাকে।

খামারের লেয়ার মুরগি পালনের ব্যাপারে মাহাবুবুর রহমান জানান, বহুদিনের প্রবল ইচ্ছা ও মনোভাব থাকায় আমি আমার নিজ জমিতে মুরগি পালন শুরু করি। মুরগি পালনে আমি স্বাবলম্বী হয়েছি। বর্তমানে আমার দুইটি মুরগির শেড রয়েছে এতে আমার মুরগি জায়গা হয় না, আমি আরো দুইটি মুরগির শেড তৈরি করেছে। সেখানেও আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই দেড় হাজার লেয়ার মুরগীর বাচ্চা নিয়ে আসবো। বর্তমানে প্রতি মাসে সেখান থেকে প্রায় ৬০-৭০ হাজার টাকা উপার্জন করা সম্ভব এবং সামনে আরো মুরগির ফার্ম বাড়ানোর মধ্য দিয়ে খামারটি বৃহত্তম করার ইচ্ছা আছে।

তিনি আরো বলেন, সরকারি সহযোগিতা ছাড়াই আমি এ পর্যন্ত এসেছি। সরকারি সহযোগিতা পেলে আমার খামারটি আরো বড় করতে চাই।
এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা (এলডিডিপি) ডা. রুবাইয়াত ফেরদৌস বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খামারি মাহাবুবুর রহমান আমাদের কাছে আসেনি। এসব খামারিদের আমরা সব সময় সার্বিক সহযোগিতা করে থাকি। তিনি আমাদের কাছে এলে আমরা ওষুধসহ অন্যান্য বিষয়ে সহযোগিতা করবো।

জামাল হোসেন/এমএম