জাজিরায় অপরিকল্পিতভাবে ব্রীজ নির্মাণের অভিযোগ, নৌপথ বন্ধের আশংকা

শরিয়তপুর প্রতিনিধি মার্চ ১৭, ২০২২, ০২:০৬ পিএম

শরীয়তপুরঃ জেলার জাজিরা উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের লাউখোলা বাজার-গজনাইপুর এলাকায় ১০ কাটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে একটি  পিসি গার্ডার ব্রীজ। অপরিকল্পিত ভাবে নির্মান করায় ব্রীজটি খুবই নিচু হওয়ায় নৌপথ বন্ধের আশংকা করছে স্থানীয়রা।

অপরদিকে উচু করার অযুহাতে প্রায় ১ বছর ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে। এতে করে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ৩ টি ইউনিয়নের ১০ টি গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে। শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মুলনা, জয়নগর ও সেনেরচর  ইউনিয়নে গ্রামীন অব কাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে নির্মিত হচ্ছে লাউখোলা বাজার- গজনাইপুর এলাকায় ১০ কোটি টাকা  ব্যয়ে ৯৬ মিটার দৈর্ঘ্য ও ২২ মিটার প্রস্থ একটি পিসি গার্ডার ব্রীজ। নির্মান কাজ ও একই উপজেলার একই ইউনিয়নের নির্মানের দরপত্র আহবান করে জাজিরা উপজেলা এলজিইডি।

মেসার্স হামীম এন্টার প্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ পায়। গত ২০২০ সালের ১৭  আগষ্ট তাদের কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। পাইলিং এর কাজ শেষ করে ব্রীজ নির্মান করার সময় স্থানীয়রা ব্রীজ দুটি অত্যান্ত নিচু হওয়ায় নৌ-চলাচল বন্ধের আশংকা করেন। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে উচু করা হবে বলে দীর্ঘদীন যাবৎ কাজ বন্ধ করে দেয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে কাজ বন্ধ থাকার কারনে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জাজিরার উপজেলার মুলনা ইউনিয়নের গজনাইপর, চরধুপুরিয়া, চরখামার, সেনেরচর ইউনিয়নের মোল্লা কান্দি, বালিয়া কান্দি, মাদবর কান্দি, জয় নগর ইউনিয়নের খারা তলা, চর খাড়াতলা, বঙ্গবাজার সহ ৩ টি ইউনিয়নের ১০ টি গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে।

জাজিরা উপজেলা এলজি ইডির প্রকৌশলী ইমন মোল্লা বলেন, নৌ চলাচলের সুবিধার জন্য স্থানীয়দের  আবেদনের পরিপেক্ষিতে প্রকল্প পরিচালকের অফিস (পিডি অফিস) থেকে ৬০০ মিলিমিটার উচু করার রিভাইস করা হয়েছে। ঠিকাদারের সাথে নতুন করে চুক্তি করা হলেই আবার কাজ শুরু করা হবে।

জামাল হোসেন /এমবুইউ