যশোরঃ জেলার শার্শায় দুই মন মরা গরুর মাংস বিক্রিকালে জনতা হাতে-নাতে কসাইসহ সহযোগিকে আটক করে। পরে স্থানীয় বাজার কমিটি ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেয়। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকালে শার্শা উপজেলার নিজামপুর বাজারে। আটক কসাই সূবর্ণখালী গ্রামের আলী ফকির (৪৩) ও সহযোগি ছোট নিজামপুর গ্রামের শুকুর আলী (৪৮)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিজামপুর ইউনিয়নের গোড়পাড়া কলোনীপাড়া এলাকার মাংস বিক্রেতা ইদ্রিস আলী। তিনি বুধবার সকাল ৭টার দিকে অজ্ঞাত স্থান থেকে একটি মরা গরু জবাই করে ঐ মাংস পাইকারী দরে কিনে নিজামপুর বাজারের কসাই আলী ফকির নিয়ে আসে বিক্রি করার জন্য। এসময় মাংস দুর্গন্ধযুক্ত ও বিকৃত চেহারার হওয়ায় তা দেখে ক্রেতা সাধারণের মাঝে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। এরপর স্থানীয় লোকজনের কাছে বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে বাজার কমিটি ও স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ নেতাকর্মীদের জানান।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ইকবাল হোসেন বলেন, সকালে বাজারের কসাই আলী ফকিরের মাংসের দোকানে মাংস কিনতে যেয়ে দেখি পঁচা। সাথে সাথে দুই মন মাংসসহ তাদের আটক করা হয়। পরে স্থানীয় নিজামপুর বাজার কমিটি ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করে এবং ঐ মাংস ডিজেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
মরা গরুর মাংস স্বীকার করে কসাই আলী ফকির বলেন, আমি গোড়পাড়ার কসাই ইদ্রিস আলীর কাছ থেকে মাংস এনে বিক্রি করি।
নিজামপুর বাজার কমিটির সভাপতি শাহাজান তরফদার বলেন, আলী কসাই বাইরে থেকে মাংস এনে বাজারে বিক্রি করে থাকে। সে প্রায়ই এ ধরনের কাজ করে আসছে। আজ বুধবার সকালে মরা গরুর মাংস বিক্রিকালে জনতার হাতে আটক হয়। পরে তাকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
গোড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই আকরাম হোসেনের কাছে মরা গরুর মাংসসহ কসাই আটকের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওটা শুনেছিলাম। এটা মুলত: ইউএনও স্যারদের কাজ, আমার কাজ না ওইজন্য আমি যাইনি।
মো.মনির হোসেন/এমবুইউ