নারায়ণগঞ্জঃ স্নাতক পরীক্ষা দিয়েই বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন হাজী আতাউর রহমান। দীর্ঘ ১০ বছর সাইপ্রাসে থাকার পর দেশে এসে সবজি চাষ শুরু করেন তিনি। রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের দড়িকান্দি এলাকার হাজী আমজাত আলীর ছেলে হাজী আতাউর রহমান সবজি চাষে এখন আশার আলো দেখছেন।
সবজি চাষী আতাউর দশ বিঘা জমিতে দেশীয় জাতের লাউ, টমেটো, সীম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, কালো বেগুন ও পেঁপের চাষ করছেন। নিজেই সবজি গাছের পরিচর্যা করেন। প্রয়োজনে শ্রমিক নেন। পুষ্টিগুণ ও স্বাদ অটুট রাখতে তিনি রাসায়নিক সার ব্যবহার করেন না। জৈব সার ব্যবহার করেন। ফলনও হচ্ছে আশাতীত। বছরে সবজি চাষে তার আয় ২লক্ষ থেকে ৩ লক্ষ টাকা। আশপাশের অনেকেই উৎসাহিত হয়ে আতাউরের মতো সবজি চাষ করছেন। দিন দিন এখানকার মানুষ সবজি চাষে ঝুঁকছেন। এলাকাটি এখন সবজি গ্রাম নামে পরিচিত।
পাইকাররা আতাউরের জমি থেকেই সবজি ক্রয় করে নিয়ে যায়। বাজারে খুচরা বিক্রি করলে দাম পাওয়া যায় ভালো। জনবলের অভাবে অনেক সময় তিনি তা করতে পারেন না। তাই জমিতেই উৎপাদিত সবজি তিনি বিক্রি করে দেন।
উপজেলা কৃষি অফিস কৃষকদের মধ্যে বিনামূলে সার, বীজ প্রদান করে। প্রশিক্ষণও দেয়। কীট, পতঙ্গ মারতে বিভিন্ন কৌশল শিখিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে সেটা আরো ব্যাপক হওয়া উচিৎ বলে কৃষকরা মনে করছেন।
সবজি চাষী আতাউর রহমান বলেন, কোন প্রকার রাসায়নিক সার ও কিটনাশক ছাড়া এখানে সবজি চাষ করছি। নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বাজারজাত করে বছরে বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করছি। আশপাশের অনেকেই এখন সবজি চাষে ঝুঁকছে।
রূপগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার ফাতেহা নুর বলেন, রূপগঞ্জের অনেক এলাকাই সবজি চাষের উপযোগী। লাভজনক হওয়ায় স্থানীয় কৃষকরাও দিন দিন সবজি চাষে ঝুঁকছে।
রিপন পাল/এমবুইউ