রোয়াংছড়িতে জুমে যাওয়া নারীর লাশ উদ্ধার

বান্দরবান প্রতিনিধি মার্চ ৪, ২০২২, ১২:৩২ পিএম

বান্দরবানঃ জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলার নোয়াপতং ইউনিয়নে ৮নং ওয়ার্ড মহিলা কার্বারী পাড়ায় চুইরংমা মার্মা (৩৯)  নামের এক নারীকে ধর্ষণ করার পর হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) দিবাগত রাতে উপজেলার নোয়াপতং ইউনিয়নের মহিলা কারবারি পাড়া এলাকার একাটি জুম ঘরের পার্শ্ববর্তী ঝিড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তিনি ঐ পাড়ার থুইসাপ্রু মারমার স্ত্রী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে কারবারি পাড়া সংলগ্ন পাহাড়ে জুমের কাজ করার জন্য বাড়ি থেকে বের হন চুইরংমা মারমা। সন্ধ্যায় বাসায় না ফেরায় স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। পরে রাতে পাহাড়ের জুম ঘরের পাশের ঝিড়িতে গলাকাটা অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।

এলাকাবাসীরা ধারনা করছে বাগানে গাছ কাটতে যাওয়া শ্রমিকেরা একা পেয়ে ঐ নারীকে ধর্ষণ করে লাশটি পাহাড়ের খাদে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে। এ সময় একা পেয়ে ঐ নারীকে ধর্ষণ করে লাশটি পাহাড়ের জুমের পাশে ঝিড়িতে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে।

ভিকটিমের বড় ছেলে উশৈচিং মারমা বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় সকাল থেকেই ভাত নিয়ে আমার মা জুমে হলুদ তুলতে যায়। বিকালে নিজ বাসায় না ফিরলে বাবা জুমে গিয়ে খোঁজাখুঁজি করলে হলুদ ও ভাতে থালা অগোছালো (এলোমেলো) দেখতে পায়। পরে বাবা গ্রামে এসে খবর পাড়াবাসীকে বিষয়টি জানায়। তারপর এলাকাবাসী জুমে গিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি একপর্যায়ে ঝিড়ি থেকে মায়ের গলা কাটা লাশ ও ঘটনাস্থল থেকে দুইটি লাঠি, গাছ কাটার বড় ঢামা দা ও একটি কোদাল পাওয়া গেছে।

নোয়াপতং ইউনিয়ন চেয়ারম্যান চনুমং মার্মা জানান, প্রতিদিনের মতো চুই রং মা মার্মা  সকাল ৮টার দিকে জুমঘরের উদ্দেশ্যে বের হন, কিন্তু সন্ধ্যয় বাড়ীতে না ফেরার কারনে তার সন্তানেরা খোঁজাখুজি করে শেষে জুম ঘরের পাশে রাতে গলা কাটা লাশ খুঁজে পায়।পুলিশকে খবর দিলে লাশ উদ্ধার করে।

রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মান্নান বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।

আগামীনিউজ/এমবুইউ