ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে বস্তায় ভরে পুকুরে ফেলে দেয় শিক্ষক

গাইবান্ধা প্রতিনিধি মার্চ ৪, ২০২২, ১১:২৪ এএম

গাইবান্ধাঃ জেলার গোবিন্দগঞ্জে আলোচিত ১০ বছরের এক শিশুকে হত্যার ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। শিশুটির শিক্ষক মোরসালিন হোসেন ছাত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে বস্তায় ভরে গোবিন্দগঞ্জ সরকারি এলাকায় বাঁশঝড়ে ফেলে দেয়।

পুলিশ জানায়, ২৭ ফেব্রুয়ারী গোবিন্দগঞ্জ সরকারি কলেজ এলাকা থেকে শিশু (১০) এর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার পর পরই তদন্তে নামে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেন। আটককৃতরা হলো নিহত কিশোরীর মোক্তবের শিক্ষক মসজিদের মুয়াজ্জিন মোরসালীন (১৯), আব্দুল আল মামুন (২১) আলামিন (২২), আরাফাত খন্দকার (১৭)। আসামীদের মধ্যে আব্দুল্লা আল মামুনের বাড়ি নীলফামারী বাকি অন্যসব আসামীরা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা।

পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাদের মুখে সকল অপরাধের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে মসজিদের মোয়াজ্জিন নিহত কিশোরীর মোক্তবের শিক্ষক মোসালীন।

পুলিশের জিজ্ঞাসাদের সে জানায়, মক্তব ছুটির পর মসজিদের সামনে আরবি শিক্ষক মোরসালিন তার থাকার রুমে শিশুটিকে ডেকে আনে। পরে শিশুটির পরনের কাপড় খুলে ফেললে সে তার নানীকে একথা বলে দেওয়ার কথা বলে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মোরসালিন শিশুটির গলা টিপে ধরে। ফলে সে নিস্তেজ হয়ে পড়লে শিক্ষক রূপি নরপশু মোসালিক তাকে করে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর কিশোরীর পরিহিত হিজাব স্কাপ দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যার পর মরদেহটি বালুর বস্তায় ভরে পাশের বর্ধণকুঠির বাঁশঝাড়ের মধ্যে ফেলে রেখে আসে। হত্যার পর শিশুটির মরদেহ মোরসালিন বস্তায় ভরে সাইকেলে করে নিয়ে যাওয়ার ভিডিও ফুটেজটি একটি চায়ের দোকানের সিসি ক্যামেরা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।

গাইবান্ধা পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল ইসলাম বৃহস্পতিবার বিকেলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণানা দিয়েছেন। এই লোমহর্ষক ঘটনাটির উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা হবে বলে তিনি দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করেন।

আগামীনিউজ/এমবুইউ