গোপালগঞ্জঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বদ্যাযালয়ের এক শিক্ষার্থীকে "দলবদ্ধ ধর্ষণের" প্রতিবাদে ও ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন ও প্রতিকী ফাঁসির কর্মসূচী করেছে বশেমুরবিপ্রবি-র শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
আজ রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববদ্যাযালয়ের মেইন গেটের সামনে গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া সড়কে দাঁড়িয়ে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন বরা হয়।
মানববন্ধন চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফায়েকুজ্জামান, তাপস বালা, কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ রাজু, তরিকুল ইসলাম এবং শিক্ষার্থী কারিমুল হক ও শেখ তারেক বক্তব্য রাখেন। এর পরে বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সমানে প্রতিকী ফাঁসি কর্মসূপী পালন করা হয়।
এর আগে ১০টায় সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা জানান, শুধুমাত্র ধর্ষণের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারই নয়, অন্যান্য দাবিগুলোও নিশ্চিত করতে হবে। আন্দোলনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সরাসরি আশ্বাস প্রদান করতে হবে।
এর পরে প্রতিকী ফাঁসিতে আন্দোলনরত ৬ শিক্ষার্থী আসামী সাজেন। পরে জল্লাদ হন ইইই বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হাসান হূদয় আর বিচারক সাজেন বিইজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শেখ ফাহিম।
পরে জল্লাদ হাসান হূদয় প্রতীকি আসামীদের মুথে কালো কাপড় বেধে গলায় ফাঁসির দঁড়ি পড়িয়ে দেন এবং বিচারক শেখ ফাহিম ফাঁসির আদেশ দিলে আসামীদের ফাঁসির রায় কায্যকর করা হয়।
পরে আন্দোলন স্থল থেকে ক্যাম্পাসে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ওই একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। এ কর্মসূচীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, ধর্ষক কারো আপন হতে পারে না। তার একটি মাত্র পরিচয় সে ধর্ষক। যারা ধর্ষনের মতো ঘটনার সাথে জড়িত রয়েছে তাদের মৃতুদণ্ড দাবি করেন তারা।
আগামীনিউজ/এমবুইউ