ঢাকাঃ প্রেমিকের হাত ধরে বাংলাদেশে চলে এসেছিলেন এক ভারতীয় তরুণী। খবর পেয়ে তার সন্ধানে নামে দুই দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অবশেষে তাকে রংপুর থেকে উদ্ধার করা হয়। এরপর থেকে সেফহোমে ছিলেন তিনি। আট মাস পর মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) তাকে ভারতে পাঠানো হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে ওই তরুণীকে ভারতীয় থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।তার গ্রামে ভারতের নদীয়া জেলার ভাটগংলা গ্রামে।
জানা গেছে, ২০২১ সালে ২৪ জুন ভারত থেকে নিখোঁজ হন ওই তরুণী। এরপর যশোরের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। সেখান থেকে পাড়ি জমান প্রেমিকের বাড়ি রংপুরে। সে সময় নদীয় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) তার পরিবার। এরপর থেকে তাকে উদ্ধারে চেষ্টা চালায় দুই দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ২৬ জুন তাকে রংপুরে পাওয়া যায়। তখন তাকে রাখা হয় রংপুর শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে। সেখানে আট মাস ছিলেন।
পরিবারের বরাত দিয়ে বাংলাদেশের সিআইডি জানায়, বাংলাদেশি যুবক অবৈধভাবে ভারতে গিয়ে কৃষ্ণনগর শহরে কাজ করতেন। একই এলাকায় থাকার সুবাদে ওই তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০২১ সালের ২১ জুন সকালে ভারত থেকে নিখোঁজ হন ওই তরুণী।
রংপুরের সিআইডি’র পরিদর্শক এনায়েতুর রহমান জানান, ওই তরুণীকে উদ্ধারের পর তাকে নিয়ে আসা যুবক ও তার এক সহযোগীর বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে মামলা করেছে পুলিশ।তাদের গ্রেফতারের পর জামিনে মুক্ত হয়।
তরুণীকে হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন ভারতের পক্ষে বিএসএফের গেঁদে কোম্পানি কমান্ডার অশোক মেহি, ইমিগ্রেশন ইনচার্জ গোপাল চন্দ্র দে, কাস্টমস ইন্সপেক্টর অজয় নারায়ন, কৃষ্ণগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর বাপিন মূর্খাজি, ডিআইও সাধন মন্ডল, মানবাধিকার কর্মী চিত্তরঞ্জন দে।
বাংলাদেশের পক্ষে ছিলেন বিজিবির আইসিপি কমান্ডার সুবেদার শহিদুল ইসলাম, দর্শনা ইমিগ্রেশন ইনচার্জ এসআই আব্দুল আলীম, দর্শনা থানার এসআই হারুন অর রশীদ, রংপুর সিআইডি ইন্সপেক্টর এনায়েতুর রহমান ও এসআই রাব্বি।
আগামীনিউজ/এমবুইউ