সুন্দরগঞ্জে বিরোধপূর্ণ জমি দখলে মারামারি, গুড়িয়ে দিয়েছে বসতবাড়ি

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২২, ০৪:১৯ পিএম

গাইবান্ধাঃ জেলার সুন্দরগঞ্জে বিরোধপূর্ণ জমি দখলকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের লোকজন আহতসহ গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে জমিতে থাকা বসতবাড়ি। রোববার সকালে উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামে ঘটেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী।

আহতরা হলেন, ওই গ্রামের মৃত আব্দুল কাদের আকন্দের ছেলে মো. আলমগীর হোসেন (৩৮), তাঁর স্ত্রী মোছা. শিমু বেগম (২৬), বড়বোন মোছা. আয়শা সিদ্দিকা লায়লা (৪৫), মৃত হোসেন আলীর ছেলে মো. গোলজার রহমান (৩৮) ও তাঁর মা মোছা. গোলেনুর বেগম (৫০)। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।

অভিযোগ ও ঘটনাস্থল সূত্রে জানা যায়, ধর্মপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কাদের আকন্দের ছেলে আলমগীরগং এর সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশি ভাগী-শরীক মৃত হোসেন আলীর ছেলে গোলজার রহমানগং এর জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এমতাবস্থায় গত শনিবার বিকালের দিকে গোলজার রহমানের লোকজন পরিকল্পিতভাবে আলমগীর হোসেনের বিরোধপূর্ণ জমির বাড়িতে হামলা চালিয়ে দুইটি টিনের ঘর ও আসবাবপত্র ভাংচুর করেন। এ সময় বাঁধা দিলে উভয় পক্ষে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে পাঁচজন গুরুত্বর আহত হন। পরে ঘটনার দিন রাতেই আলমগীর হোসেন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এতে গোলজার রহমান ও তার লোকজন আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। পরে রোববার ভোরে ভাংচুরকৃত ঘরের চাল, বেড়া, খাট, ল্যাপ ও তোষকসহ আসবাবপত্র পাশে থাকা একটি পুকুর ও ডোবায় ফেলে দেন গোলজার রহমান ও তার স্বজনরা।

ভুক্তভোগী আলমীর হোসেন বলেন, ‘বিরোধপূর্ণ জমি ও বসতবাড়ি আমাদের। তারা আমাদের লোকজনদের বেধরক মারপিট করে জমিটি দখলের চেষ্টা করেন। এ সময় বাড়িও ভাংচুর করেন তারা। এঘটনায় শনিবার রাতেই থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। রোববার ভোরে তারা আবারও জমিতে আসেন এবং ভাংচুর করা ঘরের চাল, বেড়া, খাট, ল্যাপ ও তোষকসহ আসবাবপত্র পাশে থাকা একটি পুকুর ও ডোবায় ফেলে দেন। প্রতিপক্ষের মারপিটে আমিসহ তিনজন গুরুত্বর আহত হয়েছি।'

বসতবাড়ি গুড়িয়ে দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে গোলজার রহমান মোবাইল ফোনে জানান, ‘বিরোধীয় জমি এবং তার উপর নির্মিত ঘর আমাদের। শনিবার বিকালে সংবাদ পাই আলমগীরগং বিরোধপূর্ণ জমি ও জমিতে থাকা বসতবাড়ি দখলের উদ্যেশ্যে কাঠ-বাঁশ নিয়ে গেছেন। এতে বাঁধা দেওয়ায় আমি ও আমার মা গুরুত্বর আহত হয়েছি।'

শ্রীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজাহারুল ইসলাম জানান, ‘একটি পক্ষ বিষয়টি আমাকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যকে খোঁজ-খবর নিয়ে আমাকে জানাতে বলেছি।’

থানা অফিসার ইনচার্জ মো. তৌহিদুজ্জামান অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

আগামীনিউজ/এমবুইউ