ভাঙ্গা ঘরে বসবাস, একটি সরকারি ঘর পাওয়ার আকুতি বিধবা তহমিনার

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২২, ০৩:৪৭ পিএম

কুড়িগ্রামঃ জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের সরদার পাড়া গ্রামে বসবাস অসহায় বিধবা তহমিনার, ৪৭ বছর বয়সী তহমিনার এক ছেলে এক মেয়ে রেখে স্বামী সামিউল হক মারা গেছে প্রায় এক যুগ আগে, স্বামীর দেয়া ৭ শতাংশ ভিটেমাটিতে প্রায় দেড় যুগ আগের একটি চৌচালা ঘরে মাথা গোঁজার ঠাঁই হলেও, সেই ঘরটি চালের টিন মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে গেছে, সেটি ভালো করার সাধ্য নেই বিধবা তহমিনার,সামান্য বৃষ্টি হলেই ভিজে যায় তহমিনার বিছানাপত্র, অনেক সময় বৃষ্টি সহ্য করতে না পেরে বিছানাপত্র নিয়ে আশ্রয় নেয় পাশের বাড়িতে। বাড়ির চারপাশ খোলা থাকলেও নেই কোনো স্যানিটেশনের ব্যবস্থা। ফলে মানবেতর জীবন-যাপনকরছেন বিধবা  তহমিনা বেগম। অনেক কষ্টে এলাকার বিভিন্ন জন মানুষের কাছে সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে একমাত্র মেয়েটিকে বিয়ে দিলেও অভাবের তাড়নায় একমাত্র ছেলেটি ঢাকায় অন্যের বাড়িতে কাজ করে নিজের পেট চালাতে। তাইতো মায়ের খবর নিতে পারে না ছেলে। এদিকে বিধবা তহমিনার বয়স ও বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কারণে আগের মত অন্যের বাড়িতে কাজ করতে পারে না। তাইতো ঠিক করতে পারে না মাথা গোঁজার একমাত্র ঘরটি।

ফুলবাড়ী উপজেলায় সরকারের জমি আছে ঘর নাই আশ্রয়ন প্রকল্পের শত শত ঘর নির্মাণ করা হলেও তহমিনার ভাগ্যে জোটেনি একটি সরকারি ঘর। তাইতো একটি সরকারি ঘরের জন্য আকুতি জানিয়েছেন অসহায় বিধবা তহমিনা বেগম।

প্রতিবেশী মমিনা বেগম বলেন, তহমিনা বেগম খুবই কষ্ট করে দিন যাপন করেন। আগে বিভিন্ন কাজকর্ম করতেন এখন সেটাও পারেন না। ঘরটা ভাঙাচোরা হওয়ায় বৃষ্টির দিনে খুব কষ্ট হয় তার। রান্নাবান্না থেকে শুরু করে থাকা সব দিকেই তার সমস্যা। বৃষ্টি হলে তখন আশেপাশের বাড়ি থেকে রান্নাবান্না করে নিয়ে গান। তার জন্য একটা ঘরে ব্যবস্থা করা হলে খুব ভালো হবে।

আব্দুল মান্নান, জয়নাল আবেদীন ও হেলাল মিয়া সহ আরো অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তাহমিনা অত্যন্ত গরীব। যাদের জমি আছে ঘর নাই সরকার তাদেরকে ঘ‌র দিচ্ছে। তহমিনার চাইতে অনেক সচ্ছল মানুষ‌ সরকারি ঘর পেলেও তহমিনার ভাগ্যে জোটে নাই। একটি সরকারি ঘর পেলে আর কিছু না হোক দিন শেষে শান্তিতে ঘুমাতে পারবে।

এ ব্যাপারে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিন্টু বলেন, যাদের জমি আছে ঘর নাই সরকার তাদের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। যাদের জমিও নাই ঘর নাই সরকার তাদেরকে খাস জমিতে ঘর করে একদম দলিল করে দিচ্ছে। আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর এরকম কোনো সুযোগ-সুবিধা আসে নাই। আমি তাহমিনা বেগম কে চিনি। তিনি একেবারেই অসহায় একজন মহিলা। সুযোগ-সুবিধা আসলে তাকে দেয়া হবে। আমার ইউনিয়নের গরীব অসহায় মানুষের জন্য কিছু করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছি।

আগামীনিউজ/এমবুইউ