যশোরঃ ব্রীজ তো নয় যেন মরণ ফাঁদ। ভাঙাচোরা ও জরাজীর্ণ অবয়ব নিয়ে দীর্ঘ ৩ বছর অতিক্রম করলেও মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। পড়ে গিয়ে পঙ্গু হচ্ছে পথচারীরা। ব্রীজটি দ্রুত সংস্কারের বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং উর্ধতন কর্মকর্তারা।
সংশ্লিষ্টরা বলেন, প্রকল্পেটির জন্য অর্থ পেতে উপর মহলে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আশা করছি ব্রীজটি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার করে জনগণের ভোগান্তি লাঘব করা হবে।
যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়নের জামতলা বাজার থেকে বালুন্ডা সড়কের মাঝামাঝি সংলগ্ন ব্রীজটি ভেঙে গিয়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এর ফলে এলাকার জনসাধারণসহ পথচারীদের ভোগান্তি বেড়েই চলছে। দীর্ঘ তিন বছর ব্রিজের একটি অংশ ভেঙে যাওয়ার ফলে ভারি কোন যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। প্রাইভেটকার, ভ্যানসহ ছোট যানবাহন চলাচলেও সমস্যা হচ্ছে। ব্রিজটির এক অংশ ভেঙে পড়ার পাশাপাশি পুরোটাই নিচের দিকে বাঁকা হয়ে ঝুঁকে পড়েছে। এরকম অবস্থার কারণে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। অতি দ্রæত ব্রিজটি সংস্কার করে পথচলা সুগম করার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এই সড়কে চলাচলকারী ও স্থানীয়রা।
পথচারীরা জানান, এই সড়কে চলাচলকারী অনেকেই আজ পঙ্গু। ব্রিজ পেরিয়ে যাওয়ার আগেই প্রতিনিয়ত ধ্বসে নিচে পড়ছে সাধারণ মানুষ। ভেঙে চুরে বিকল হয়ে পড়ছে উপার্জনের একমাত্র বাহনটি।
বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক বলেন, আমি নির্বাচিত হওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রকৌশলী কর্মকর্তাদের কাছে রাস্তাঘাট সংস্কারের দাবি করেছিলাম। এলাকার জনগণ দুর্ভোগের মধ্যে আছে। বিশেষ করে এই সড়কটি ব্রীজসহ তাড়াতাড়ি সংস্কার হয় সে বিষয়টি প্রশাসনের কাছে জানিয়েছি। ব্রীজটি দ্রুত সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা বলেন, পুটখালি ইউনিয়নগামী একটি ব্রীজ ভেঙে গেছে বলে জানতে পেরেছি। সংশ্লিস্ট চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে কথা বলেছি। যাতে দ্রুত সংস্কার করে যান ও পথচারি চলাচল স্বাভাবিক করা যায় সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
শুধু আশ্বাস নয়। দীর্ঘদিনের ভাঙাচোরা ও জরাজীর্ণ ব্রিজটি অতিদ্রুত সংস্কার করে স্থানীয় জনগন এবং পথচারীদের চরম ভোগান্তি লাঘব হবে এমনটাই আশা করেন সচেতন মহল।
আগামীনিউজ/এমবুইউ