ঝিনাইদহঃ জেলার মহেশপুর উপজেলার কুশাডাঙ্গা গ্রামের আজাদ হোসেন (৩৮) গুরুতর অসুস্থ হলে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। গত শনিবার রাতে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর রোববার সকালেই তাঁর মৃত্যু হয়। এরপর লাশ বাড়িতে আনার টাকার সংকটে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। মৃত ব্যক্তির বাড়িতে উপস্থিত প্রতিবেশীদের মধ্যেও এ নিয়ে আলাপ চলছিল।
এ সময় বাড়ির পাশ দিয়ে যেতে জটলা চোখে পড়ে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার দত্তনগর পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তা সাগর সিকদারের। ঘটনা শুনে তিনি তাৎক্ষণিক ১২ হাজার টাকা গাড়িভাড়া এলাকাবাসীর হাতে তুলে দেন। দাফনের জন্য কাফনের কাপড় কিনে দিয়েছেন আজাদ হোসেনের কর্মস্থল একটি রাইস মিলের মালিক জামাল শেখ। ঘটনাটি মহেশপুরের কুশাডাঙ্গা গ্রামের।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মকছেদ আলী বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে আজাদ খুব অসুস্থ ছিলেন। মাঝেমধ্যে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাঁর অবস্থা খারাপ হলে গতকাল শনিবার ঢাকায় নেওয়া হয়। রাতে সেখানে নেওয়ার পর রোববার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।
আজাদের পরিবারে আছেন স্ত্রী সোনিয়া আক্তার, ছেলে সোয়াইব হোসেন (৮) ও মেয়ে আরিয়া (৪)। পরিবারের পক্ষ থেকে অসুস্থ আজাদকে তাৎক্ষণিক ঢাকায় পাঠানো হলেও কোনো টাকার ব্যবস্থা ছিল না। তাঁর মৃত্যুতে পরিবারটির আরও খারাপ অবস্থা হলো।
দত্তনগর পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তা সাগর সিকদার বলেন, অল্প কিছু টাকার জন্য স্বজনের লাশ বাড়ি আনতে হিমশিম খাচ্ছিলেন পরিবারের সদস্যরা। বিষয়টি জেনে তাঁর খুব খারাপ লাগে। সেই জায়গা থেকে তিনি টাকা দিয়েছেন।
আগামীনিউজ/এমবুইউ