সাদুল্লাপরে ব্যস্ত সময় পার করছে ফুলচাষিরা

সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২, ০৮:৫৪ এএম

ঢাকাঃ করোনাকালে গত দুই বছরে ফুল ব্যবসায় ধস নেমে আসে। লকডাউনের কারণে দেশের কোথাও ফুল পাঠানো যায়নি। ফুল সম্পৃক্ত সব ধরনের ইভেন্ট বন্ধ থাকায় ফুলের চাহিদাও ছিল না।

সরেজমিনে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের ফুল চাষিরা জানালেন এমন তথ্য।

কৃষকরা জানায়, ইতোমধ্যে লকডাউন উঠে যাওয়ার পর ফুলের চাহিদা বাড়তে থাকে। হতাশা থেকে আশায় বুক বাঁধছেন চাষী ও ব্যবসায়ীরা। লকডাউনের পর থেকে ভালো দামও পাচ্ছেন চাষীরা। তাই ফেব্রুয়ারি মাসের তিনটি বিশেষ দিবসকে সামনে রেখে ফুল চাষীরা পার করছেন ব্যস্ত সময়।

সাদুল্লাপুর কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, সাদুল্লাপুর উপজেলায় ৫০ একর জমিতে ফুল চাষ হয়েছে। এ উপজেলায় প্রায় ১০০ জন ফুল চাষি রয়েছেন। তাদের চাষের মধ্যে গোলাপ, গাঁদা, মল্লিকা, গ্লাডিওলাস উল্লেখযোগ্য।

আরও জানা যায়, ফেব্রুয়ারি মাসে ফুলের চাহিদা বেশি থাকে। এই মাসে একুশে ফেব্রুয়ারি, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও পহেলা ফাল্গুন রয়েছে। এই তিনটি দিবসে ফুলের বিক্রি বেশি হয়। বর্তমানে ফুল তোলা, প্যাকেজিং, পাইকারি বিক্রি শুরু করেছে কৃষকরা।

ইদিলপুর ইউনিয়নের কাঁঠাল লক্ষীপুর গ্রামের ফুল চাষি আরিফুল ইসলাম জানান, মহামারি করোনাকালে লকডাউনে ফুলচাষি ও ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে। লকডাউন উঠে যাওয়ার পর ফুলের চাহিদা বেড়েছে। দামও ভালো পাচ্ছেন চাষিরা। ফেব্রুয়ারি মাসে ভালো ব্যবসা হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

আরেক কৃষক আনিছার রহমান জানান, গেল লকডাউনের সময় অনেক ক্ষতি হয়েছে। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তারা চেষ্টা করছেন। সামাজিক অনুষ্ঠান চললে ফুলের চাহিদা থাকবে। বর্তমানে বাজারে দাম ভালো যাচ্ছে। এভাবে চললে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন।

সাদুল্লাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মতিউল আলম বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে ফুল চাষিরা চরম বিপদে পড়েছিল। বর্তমানে চাহিদা বেড়েছে, ফুলচাষে পরামর্শ ও সহযোগিতা করে আসছে বলে জানান তিনি।

আগামীনিউজ/এমবুইউ