রাণীশংকৈলে মাঘের বৃৃষ্টিতে আলুর খেত বাঁচাতে ব্যস্ত কৃষকেরা

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২২, ১২:৫২ পিএম
রাণীশংকৈলে মাঘের বৃৃষ্টিতে আলুর খেত বাঁচাতে ব্যস্ত কৃষকেরা

ঠাকুরগাঁওঃ মাঘ মাসের হঠাৎ বৃষ্টিতে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আলুখেতে পানি জমে গেছে। আলু গাছ বাঁচাতে কৃষকেরা এখন খেত থেকে পানি অপসারণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কৃষি কর্মকর্তা বলছেন, জমে থাকা পানি দ্রুত অপসারণ করতে পারলে আলুর তেমন ক্ষতি হবে না।

গত শুক্র ও শনিবার দিনভর বৃষ্টিতে উপজেলার বেশির ভাগ আলুখেতে পানি জমে যায়। জমে থাকা পানির কারণে আলুগাছে লেটব্রাইট (মড়ক) রোগের আক্রমণের শঙ্কা রয়েছে।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, আগাম গমের ক্ষেত ঝড়ো বাতাসের কারণে মাটিতে নুইয়ে পড়েছে।  এছাড়াও সরিষা, ভূট্টাসহ সব ফসলই বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, উপজেলার আট ইউনিয়নে এবার ৩ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে কার্ডিনাল, গ্লান্ডুলার, ডায়মন্ডসহ বিভিন্ন জাতের আলু আবাদ হয়েছে। আলু রোপণের শুরু থেকে আবহাওয়া অনুকূলে ছিল। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টিতে আলুর ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।

রবিবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে পানি সরানোর দৃশ্য দেখা গেছে। তবে মেঘলা আকাশ দেখে আবারও বৃষ্টির আশঙ্কায় রয়েছেন আলুচাষিরা।

কাশিপুর ইউনিয়নের কাদিহাট গ্রামের চাষি আউয়াল মিয়া বলেন, এমনিতেই বাজারে আলুর দাম কম। তার ওপর এখন বৃষ্টি। জমিতে পানি জমেছে। আলুর জমিতে পানি জমে থাকলে পচন ধরবে। এতে আলুর ব্যাপক ক্ষতি হবে।

ধর্মগড় গ্রামের আরেক চাষি মোকসেদ আলী জানান এবার নিজের ও অন্যের জমি বর্গা নিয়ে প্রায় ১৫ বিঘা জমিতে আলু রোপণ করেছেন। তিনি বলেন, মাঘ মাসের হঠাৎ বৃষ্টিতে তার সব আলুখেতে পানি জমে গেছে। দুই-এক দিনের মধ্যে খেত থেকে পানি অপসারণ করতে না পারলে, এবার তাঁর ব্যাপক ক্ষতি হবে। এখন বৃষ্টির কারণে আলুতে পচন ধরলে পথে বসতে হবে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, বৃষ্টি হওয়ায় আলুর খেতে পানি জমেছে। তবে কৃষকেরা পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করছেন। জমে থাকা পানি দ্রুত অপসারণ করলে এবং বৃষ্টি না হলে তেমন ক্ষতি হবে না।

কৃষকরা এখন আলু ক্ষেতে পানি না শুকানো পর্যন্ত আলু উত্তোলন করা থেকে বিরত থাকবে, এখন সবচেয়ে জরুরি জমাট পানি ক্ষেত থেকে বের করার ব্যবস্থা করা।

আগামীনিউজ/বুরহান