কলেজ ছাত্রীকে ৮ দিন আটকে রেখে জোরপূর্বক ধর্ষণ, তিন যুবক গ্রেফতার

গাজীপুর প্রতিনিধি ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২২, ১২:৪৫ পিএম

গাজীপুরঃ কিশোরী কলেজ ছাত্রীকে (১৭) ডেকে নিয়ে ৮দিন আটকে রেখে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে চান্দনা-চৌরাস্তা ও কোনাবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। মহানগরের কোনাবাড়ি এলাকার জাকির হাসানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। 

কোনাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সিদ্দিক আসামিদের গ্রেফতার ও হাজতে পাঠানোর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।  

গ্রেফতারকৃতরা হলো- রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার ডোমনামারা গ্রামের খোকন বিশ্বাস ওরফে শান্ত (৩৭), নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার মহেশপুর গ্রামের নাজমুল ইসলাম আকন্দ (৩০) এবং রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বাড়াইপাড়া গ্রামের খোকন আলী (৩৭)। বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।  

ওসি আবু সিদ্দিক বলেন, ভিকটিম কিশোরি সাভারের জিরাবো এলাকায় বোরাক পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। ওই ছাত্রী জিরাবো এলাকায় তার স্বজনদের সঙ্গে বসবাস করে। গত দুইমাস আগে ভিকিটিমের সঙ্গে মোবাইলফোনে শান্তর পরিচয় হয়। পরে ১২ জানুয়ারি শান্ত ভিকটিমকে কোনাবাড়ী বাসস্ট্যান্ডে আসতে বলে। ভিকটিম সন্ধ্যায় কোনাবাড়ি বাসস্ট্যান্ড গেলে শান্ত ও তার দুই সহযোগী কৌশলে তাকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে কোনাবাড়ি থানার উত্তর দেওয়ালিয়াবাড়ি এলাকার জাকির হোসেনের বাড়ির তৃতীয় তলার কক্ষে নিয়ে আটকে রাখে। 

পরে ১২ জানুয়ারি থেকে ১৯ জানুয়ারি রাত ১০টা (৮দিন) পর্যন্ত শান্ত কিশোরীকে ঘরে আটক রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে এবং অন্য আসামিরা মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে তার সঙ্গে থাকা আড়াই লাখ টাকা, মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। পরে ওইদিন রাতেই কিশোরী কৌশলে বাসা থেকে পালিয়ে কোনাবাড়ি ফ্লাইওভারের পশ্চিম পাশ থেকে বাসে করে সাভারের জিরাবোর ভাড়া বাসায় গিয়ে ঘটনাটি তার স্বজনদের জানালে আসামিদের পুরো ঠিকানা সংগ্রহ ও বিস্তারিত পরিচয় সংগ্রহ করে এবং স্বজনদের সঙ্গে পরামর্শ করে মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) কিশোরী কোনাবাড়ি থানায় মামলা দায়ের করেন। 

পরে পুলিশ মঙ্গলবার রাতেই চান্দনা-চৌরাস্তা ও কোনাবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি শান্ত ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করে গাজীপুর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

আগামীনিউজ/এমবুইউ