কুষ্টিয়াঃ জেলার খোকসা খোকসা উপজেলায় সরিষা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৪৫ হেক্টর জমিতে বেশী আবাদ হয়েছে। সরকারিভাবে উপজেলা বাছাইকৃত ৪'শ কৃষককে উন্নত জাত বীজ ও সার সহ কৃষকদের বিভিন্ন প্রযুক্তিনির্ভর প্রশিক্ষণ প্রদান করায় এর সফলতা এসেছে বলে দাবি করলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সবুজ কুমার সাহা।
২০২২ সালে খোকসায় সরিষা আবাদের লক্ষমাত্রা ছিল ৩৬৫ হেক্টর। কৃষকদের মাঝে উন্নত জাতের বীজ সার এবং উপকরণ বিতরণ করায় এবার উপজেলার সরিষার আবাদ হয়েছে ৫১০ হেক্টর জমিতে। এছাড়াও সরিষার জমিতে মৌচাক বাক্স স্থাপন করার কারনে সরিষার আবাদে ফলন বেশি হয়েছে। উৎপাদন হয়েছে বিশুদ্ধ মধু।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ২৮টি ব্লক, ৯ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মধ্যে সরিষার বেশি আবাদ হয়েছে শিমুলিয়া ইউনিয়নে ৯০ হেক্টর, জয়ন্তীহাজরা ইউনিয়নে ৮০ হেক্টর, বেতবাড়িয়া ইউনিয়নে ৭০ হেক্টর। এছাড়াও ওসমানপুর ইউনিয়নে সরিষার বাম্পার আবাদ হয়েছে।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকা, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উন্নত বীজ সার ও প্রযুক্তিনির্ভর প্রশিক্ষণলব্ধ কৃষকদের প্রচেষ্টায় এ বছর সরিষার আবাদে বাম্পার ফলন হবে। উন্নত জাতের বারি সরিষা ১৪/১৫/১৭/১৮ ও বিনা সরিষা ৪ ও ৯ জাতের বীজ এবং সার বিনামূল্যে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাছাইকৃত ৪'শ কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়নের আজইল ব্লকের রামনাথপুর গ্রামের কৃষক ইমরান হোসেন জানান, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে উন্নত জাতের সরিষা বীজ সার ও প্রযুক্তিনির্ভর প্রশিক্ষণ পাওয়ায় এ বছর সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছি।
গোপগ্রাম ইউনিয়নের খোদ্দসাধুয়া গ্রামের কৃষক মোঃ রজাই প্রমানিক জানান, এ বছর সরিষার জমিতে মৌচাকের বাক্স স্থাপন করায় সরিষা চাষের ফলন অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অনেক মধু পেয়েছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সবুজ কুমার সাহা বলেন, অনেক বেশি লক্ষ্যমাত্রার থেকেও অনেক বেশি সরিষার আবাদ হওয়ায় নিজেদের আভ্যন্তরীণ তেলের চাহিদা মিটিয়েও জেলা চাহিদা পূরণ করবে।
আগামীনিউজ/এমবুইউ