গাজীপুরঃ শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে অসুস্থ অপর জেব্রাটিও মারা গেছে। শনিবার (২৯ জানুয়ারী) রাতে জেব্রাটি মারা যায়। এ নিয়ে চলতি মাসে সাফারি পার্কে ১১টি জেব্রার মৃত্যু হলো।
পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী বন সংরক্ষক তবিবুর রহমান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাফারি পার্কের প্রকল্প পরিচালক জাহিদুল কবীর জানান, শনিবার সকালে দুটি জেব্রা অসুস্থ হয়ে পরে। তাৎক্ষণিক ওই অসুস্থ জেব্রা দুটিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এর মধ্যে সকালে একটি ও রাতে অপর জেব্রাটি মারা যায়। ২৫ জানুয়ারি গঠিত ৬ সদস্যের বিশেষজ্ঞ মেডিক্যাল বোর্ড পার্কে উপস্থিত হয়ে মৃত্যু রোধে করণীয় ও কারণ উদঘাটনে কাজ শুরু করেছে।
তিনি আরও জানান, ২ জানুয়ারি থেকে পার্কে জেব্রা মৃত্যু শুরু হয়। সোমবার (২৪ জানুয়ারি) পর্যন্ত ৯টি জেব্রা মারা গেছে। জেব্রা মৃত্যুতে ৬ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। পরে ২৫ জানুয়ারি পার্কে তাদের নিয়ে মেডিকেল বোর্ডের সভা আহ্বান করা হয়। এরই আগে ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি অনুষদের অধ্যাপক ড. মো. আবু হাদী নুর আলী খান, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারি ও অবস্টেট্রিকস বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল আলম, ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক মো. কাজী রফিকুল ইসলাম, ঢাকার কেন্দ্রীয় পশু হাসপাতালের সাবেক প্রধান ভেটেরিনারি অফিসার ও ঢাকা চিড়িয়াখানার সাবেক কিউরেটর ডা. এবিএম শহীদ উল্লাহ, গাজীপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.এসএম উকিল উদ্দিন এবং সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি অফিসার ডা. হাতেম সাজ্জাদ মো. জুলকারনাইন। বৈঠক শেষে বিকেলে ব্রিফিংয়ে জেব্রার মৃত্যুর কারণ ও কিছু দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শ দেন গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি।
পার্ক পর্যবেক্ষণ শেষে তারা যে পরামর্শগুলো দিয়েছেন তা হলো— জেব্রার বসতির জায়গার মাটি 'ওলট পালট' করে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে জীবাণু ধ্বংস করতে হবে। পার্কের জলাধারের পানি পরিবর্তন করতে হবে। জেব্রাগুলোকে টিকার আওতায় আনতে হবে, জেব্রার খাবার হিসেবে পরিপক্ক ঘাসের ব্যবস্থা করতে হবে, শুকনো খাবার ফাঙ্গাসমুক্ত করে পরিবেশন করতে হবে। ঘাস পানিতে ভালো করে ধৌত করে কেটে পাত্রে পরিবেশন করতে হবে। এসব প্রাণি বেস্টনীতে বায়োসিকিউরিটি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, অতিরিক্ত নিরাপত্তা কর্মীর ব্যবস্থা রাখতে হবে। পার্কের ভেতরে পতিত জমিতে ঘাস উৎপাদন করে খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। নাইট ভিশন ক্যামেরাসহ পুরো বেস্টনিতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে।
বিকেলে সভাশেষে জাহিদুল কবির ও বিশেষজ্ঞ টিমের সদস্য মো. শহীদুল্লাহ ওইসব জেব্রার মৃত্যুর কারণ ও পার্কের পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সাত ধরনের পরামর্শ দেন।
তারা জানান, অতিরিক্ত কাঁচা ঘাস ছাড়া স্ট্রেপ্টোকক্কাস, ই-কোলাই, ক্লোসটেডিয়াম, সালমোনিলা ও পাস্টুরেলা নাম ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে ৫টি এবং নিজেদের মধ্যে মারামারি করে চারটি জেব্রা মারা গেছে।
পার্ক পর্যবেক্ষণ শেষে তারা যে পরামর্শগুলো দিয়েছেন তা হলো— জেব্রার বসতির জায়গার মাটি 'ওলট পালট' করে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে জীবাণু ধ্বংস করতে হবে। পার্কের জলাধারের পানি পরিবর্তন করতে হবে। জেব্রাগুলোকে টিকার আওতায় আনতে হবে, জেব্রার খাবার হিসেবে পরিপক্ক ঘাসের ব্যবস্থা করতে হবে, শুকনো খাবার ফাঙ্গাসমুক্ত করে পরিবেশন করতে হবে। ঘাস পানিতে ভালো করে ধৌত করে কেটে পাত্রে পরিবেশন করতে হবে। এসব প্রাণি বেস্টনীতে বায়োসিকিউরিটি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, অতিরিক্ত নিরাপত্তা কর্মীর ব্যবস্থা রাখতে হবে। পার্কের ভেতরে পতিত জমিতে ঘাস উৎপাদন করে খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। নাইট ভিশন ক্যামেরাসহ পুরো বেস্টনিতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে।
বিশেষজ্ঞ মেডিক্যাল বোর্ডে ছিলেন ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি অনুষদের অধ্যাপক ড. আবু হাদী নুর আলী খান, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারি ও অবস্টেট্রিকস বিভাগের অধ্যাপক ড. রফিকুল আলম, ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক কাজী রফিকুল ইসলাম, ঢাকার কেন্দ্রীয় পশু হাপসপাতালের সাবেক প্রধান ভেটেরিনারি অফিসার ও ঢাকা চিড়িয়াখানার সাবেক কিউরেটর ডা. এবিএম শহীদ উল্লাহ, গাজীপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এস এম উকিল উদ্দিন এবং সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি অফিসার ডা. হাতেম সাজ্জাদ জুলকার নাইন।
আগামীনিউজ/বুরহান