উৎকোচের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে অধ্যক্ষ ও সভাপতির মধ্যে হাতাহাতি

বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি  জানুয়ারি ২৩, ২০২২, ০৯:২৭ পিএম
ছবিঃ আগামীনিউজ

বরগুনাঃ জেলার বেতাগীতে বিবিচিনি স্কুল এন্ড কলেজে কর্মচারি নিয়োগে ঘুষ বানিজ্যের ১৮ লক্ষ টাকা ভাগাভাগি নিয়ে গত শনিবার দুপুরে অধ্যক্ষ ও পরিচালনা পরিষদের সভাপতির মধ্যে চর-থাপ্পর ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে প্রধান, শিক্ষক ও সভাপতির মধ্যে এখনো চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

উপজেলার বিবিচিনি স্কুল এন্ড কলেজে জীববিজ্ঞান, রসায়ন ও কম্পিউটার ল্যাব সহকারী পদে ৩ জন, পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং আয়া পদে ২ জন করে মোট ৫ জন কর্মচারি নিয়োগ দেয়া হয়। এসব কর্মচারিরা যোগদান করলেও যোগ্য ও মেধা সম্পন্নরা বঞ্চিত হওয়ায় এ নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জন ও বঞ্চিতদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃস্টি হয়েছে। 

নিয়োগ বঞ্চিত একাধিক প্রার্থী অভিযোগ করেন, উন্নয়নের নামে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন তহবিলে ১০ লাখ টাকা (যা সোনালী ব্যাংক নিয়ামতি শাখায় কলেজের ১০৪ নম্বর হিসেবে জমা) এবং অধ্যক্ষের কাছে ৮ লাখ টাকা জমা করে তা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের মাঝে ভাগাভাগি করে নেওয়া হয়েছে। 

জানা গেছে, অধ্যক্ষের কক্ষে রাতের আধাঁরে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কাজ করা, তার ব্যয় ও নিয়োগের টাকার ভাগাভাগির হিসেব নিয়ে গত শনিবার দুপুরে এক সভার আহবান করলে কলেজের অধ্যক্ষ প্রদীপ কুমার বিশ্বাস ও বিবিচিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও প্রতিষ্ঠানের সভাপতি আব্দুল খালেকের মধ্যে চরম বিরোধের সৃস্টি হয়। চলে বাক-বিতান্ডা। এক পর্যায়ে কলেজের সভাপতি আব্দুল খালেক ক্ষিপ্ত হয়ে অধ্যক্ষ প্রদীপ কুমার বিশ্বাসের উপড় চরাও হয়ে মারধর করে চর থাপ্পর মারেন। কলেজের শিক্ষকদের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আসলেও প্রতিষ্ঠান প্রধান, শিক্ষক ও সভাপতির মধ্যে এখনো চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

কলেজের অধ্যক্ষ প্রদীপ কুমার বিশ্বাস মারধরের ঘটনা অস্বীকার করলেও প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে কর্মচারি নিয়োগে টাকা নেওয়া হয়েছে তা স্বীকার করে বলেন, উন্নয়নের জন্য টাকা নেওয়া এটা কোন অপরাধ নয়। সকলের মতামতের আলোকেই এ টাকা নেওয়া হয়েছে। তবে রাতের আধারে কলেজের উন্নয়নকাজ ও এ খাতে টাকা ব্যয় করার হিসেব নিয়ে সভাপতির সাথে বিরোধ তৈরি হয়েছে।

বিবিচিনি স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি আব্দুল খালেক কর্মচারি নিয়োগে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নখাতে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তিনি অধ্যক্ষের উপড় চড়াও এবং তাদের মধে হাতাহাতির কোন ঘটনা ঘটেনি। অধ্যক্ষ অযথা তর্কে লিপ্ত হয়েছে। এটা তার ঠিক হয়নি। 

বেতাগী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সুহৃদ সালেহীন বলেন, এ ধরনের ঘটনা সত্যিই দু:খজনক ও কারো কাম্য নয়। কেউ লিখিত অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আগামীনিউজ/নাসির