ফরিদপুরঃ জেলার মধুখালীতে বিদেশে ভাল বেতনের চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে মোঃ সোহান মোল্যা আত্মীয় মোঃ সুমন মন্ডলের সাথে প্রতারনা করে হাতিয়ে নিয়েছে ৩ লক্ষ টাকা।
মধুখালী থানায় ভুক্তভোগি মোঃ সুমন মন্ডলের লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে মধ্য প্রাচ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে লোক পাঠানোর কথা বলে, লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে হাওয়া হয়েছেন। সোহান বাগাট মধ্যপাড়া সাহেদ মোল্যার ছেলে । সোহান নিজেকে বিমান বাহিনীর সদস্য বলে দাবি করেন। চাকরির সুবাধে আদম ব্যবসায়ী বা অন্যান্যদের সাথে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সুত্র ধরে তাদের মাধ্যমেই লোকজন বিদেশ প্রেরণ করে থাকেন।
মধুখালী পৗরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের শ্রীপুর গ্রামের আকমল মন্ডের ছেলে মোঃ সুমন মন্ডল মধুখালী থানায় অভিযোগ করে বলেন, সোহান মোল্যা ও তার পিতা সাহেদ মোল্যা এবং তার ভাই আশিক মোল্যর যোগসাজশে তার কাছ থেকে ৩ লক্ষ টাকা নগদ গ্রহন করেন, গন্তব্যে পৌঁছানোর পর ২ লক্ষ মোট ৫ লক্ষ টাকা দেবার শর্তে ইউরোপের দেশ ফিজির জন্য একটি ভিসা ও বিমান টিকিট দেওয়া হয়। নির্ধারিত দিনে সেই ভিসা টিকিট নিয়ে ঢাকা হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে গেলে তিনি জানতে পারেন দুইটাই ভুয়া, তার সাথে প্রতারনা করা হয়েছে। উপায় না পেয়ে গ্রামে এসে সোহানের বাড়ী গেলে তাকে আর খুজে পাওয়া যায় নাই। দীর্ঘ করোনার বিরতির পর বাগাট বাজারে সুশীল সমাজের সমন্বয়ে সালিশ বৈঠক হলে সেখানে সোহান ও তার পিতা টাকা ফেরৎ দিতে সম্মতি হন। সালিশী বৈঠকের পর দুটি বছর পার হলেও টাকা ফেরৎ দেয় নাই। সোহান ১৫ থেকে ২০ জনের টাকা মেরে ঢাকাতে ব্যবসা বাণিজ্য করে আয়াসী জীবন জাপন করছেন। ভুক্তভোগী কেউ টাকা চাইতে আসলে বা ফোন দিলে পুলিশের উর্দ্ধতন এক অফিসারের নাম ভাঙ্গিয়ে তার মামা পরিচয় দিয়ে ভয়-ভীতি দেখান।
সোহানের মোবাইলে জানতে চাইলে প্রতিনিধিকে সেই পুলিশ মামার পরিচয় দিয়ে বলেন ৩ মাসের আগে টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। আমি মধ্যস্থতাকারি ছিলাম মাত্র।
মধুখালী থানার তদন্ত কর্মকর্তা এএসআই জাহাঙ্গির হোসেন এর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি জানান, অভিযোগ পেয়েছি, দু'পক্ষকে থানায় ডেকেছি, জেনে সুনে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আগামীনিউজ/নাসির