বরিশালঃ খাদ্যগুদামের বাহিরে তালা লাগিয়ে চাল বস্তায় ভর্তি করে বাহিরে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে বরিশাল বাবুগঞ্জের খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) মোসা. ফরিদা খাতুনের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ফরিদা খাতুনসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) মোসা. ফরিদা খাতুন দীর্ঘদিন ধরে গোডাউনে বসে শ্রমিক দিয়ে ৩ নম্বর খাদ্যগুদামের বাহির দিয়ে তালা লাগিয়ে ২৫ কেজি মনোগ্রাম খচিত জোড়া কবুতর মিনিকেট বস্তায় ভর্তি করে বাহিরে বিক্রি করে আসছেন।
গোপন সংবাদ পেয়ে উপজেলা ইউএনও মো. আমীনুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মিজানুর রহমান, বরিশাল জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলাম, বাবুগঞ্জ থানার ওসি মো. মাহাবুবুর রহমান বৃহস্পতিবার বিকালে সরেজমিন গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে জোড়া কবুতর মিনিকেটের ১১শ খালি বস্তা ওসিএলএসডির নিজস্ব বাসভবন থেকে ও ৩ নম্বরর খাদ্যগুদাম থেকে উদ্ধার করেন। গোডাউনের ভেতর ২৫ কেজির ৮শ বস্তা চাল থাকায় ওই গুদামে সিলগালা করে দেন।
এরপর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মোসা. রুবিনা পারভীন বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ওসিএলএসডি ফরিদা খাতুনসহ ৫ জনকে আসামি করে বাবুগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর ওসিএলএসডি ফরিদা খাতুন ও গোডাউনের শ্রমিক মোফাজ্জেলকে পুলিশ ওই রাতেই গ্রেফতার করেন।
তাদের দুইজনকে গতকাল শুক্রবার সকালে বরিশাল আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বরিশাল জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, তার অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে ফৌজদারি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরবর্তীতে বিভাগীয় আইনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ওসিএলএসডি ভোলা থেকে বাবুগঞ্জ খাদ্যগুদামে যোগদানের পর থেকে ব্যাপক দুর্নীতি করে আসছে। এ বিষয় গত ২০১৯ সালে ওসিএলএসডি ফরিদা খাতুন তার স্বামীর মাধ্যমে খাদ্যগুদামে ধান ক্রয় করার ঘটনা দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি। তারই ধারাবাহিকতায় তিনি বাহিরের জোড়া কবুতর সিলযুক্ত মিনিকেট ২৫ কেজি বস্তায় গোডাউনের চাল ভর্তি করে বাহিরে দেদার বিক্রি করে আসছেন।
আগামী নিউজ/এসএস