ঠাকুরগাঁওঃ জেলার সদরের রাজাগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সাধারণ সদস্য প্রার্থীর ভোটের ফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
সদর উপজেলার রুহিয়া থানার ওসি চিত্তরঞ্জন রায় সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, রুহিয়া থানার রাজাগাঁও ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ আসাননগর সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার তৌকির আহম্মেদ বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এতে অজ্ঞাতপরিচয় ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
চার-পাঁচশ মানুষকে আসামি করে মামলা করায় এলাকার সাধারণ মানুষ ও ভোটারদের মধ্যে গ্রেপ্তার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে ওসি জানান, সরকারি কাজে বাধা, প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং পুলিশের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলার দায়ে এ মামলা করা হয়েছে।
এ মামলায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে তদন্ত চলছে বলে জানান ওসি।
খোরশেদ আলম নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, মামলার খবর শোনার পর থেকে এলাকার মানুষের মাঝে গ্রেপ্তার আতঙ্ক বিরাজ করছে। এলাকা অনেকটা পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।
রহিমা বেগম নামের এক হোটেল শ্রমিক জানান, ‘ভোটকেন্দ্রে গোলাগুলির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। এখন মামলার কথা শুনে স্বামী-সন্তানদের জন্য চিন্তায় পড়েছি। আমরা গরিব মানুষ। একদিন কাজ না করলে খাবার জুটবে না। এখন ভোট যেন আমাদের কাল হয়ে দাঁড়ালো। অনুরোধ করব, পুলিশ যেন শুধু দোষীদের ধরে নিয়ে শাস্তি দেয়।’
এ বিষয়ে ওসি বলেন, ‘সাধারণ মানুষ ও ভোটারদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। পুলিশ নির্দোষ কাউকে আটক বা হয়রানি করবে না। তদন্তে যারা প্রাথমিকভাবে দোষী প্রমাণ হবে তাদেরকেই গ্রেপ্তার করা হবে। এলাকাবাসী ও সাধারণ ভোটারদের জন্য নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হবে।’
পুলিশ জানায়, রোববার রাতে সদর উপজেলার রাজাগাঁও ইউনিয়নের দক্ষিণ আসাননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি ভোট কেন্দ্র থেকে ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনি সরঞ্জাম নিয়ে বের হওয়ার সময় পরাজিত সদস্য প্রার্থীর লোকজন প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পুলিশের ওপর আক্রমণ করে।
একপর্যায়ে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় প্রিজাইডিং অফিসারের নির্দেশে গুলি করা হয়। এতে হামিদুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি নিহত হন।
আগামীনিউজ/নাসির