ঠাকুরগাও: জেলার পীরগঞ্জে তৃতীয়ধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে সহিসংতার ঘটনার মামলায় এলাকার নিরিহ লোকদের পুলিশি হয়রানি না করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসি। শনিবার সকালে পীরগঞ্জ থানার সামনে উপজেলার বৈরচুনা ইউনিয়নের ইদ্রোইল ভবানিপুর গ্রামের দেড় শতাধিক নারি-পুরুষ এ কর্মসূচী পালন করেন।
এতে দাবি করা হয়, সহিসংতার ঘটনার সাথে জড়িত নয় এমন নিরিহ গ্রামবাসিদের বাড়িতে রাতে পুলিশ হানা দিয়ে তাদের গ্রেফতার করে হয়রানি করছে। তারা এর প্রতিকার চান।
ওই এলাকার ইউপি সদস্য শাহজাহানের অভিযোগ, থানা পুলিশ মামলার এজাহার নামীয় আসামীদের গ্রেফতার না করে বৃহস্পতিবার রাতে ভবানিপুর গ্রামের রিয়াজুল ইসলাম নামে এক নিরিহ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। রিয়াজুল ছাড়াও এর আগে আরো দু’জন নিরিহ লোককে গ্রেফতার করে হাজতে পাঠায় পুলিশ।
গ্রেফতারের নামে রাতে বাড়ি বাড়ি তল্লাসী চালিয়ে হয়রানি করছে পুলিশ। পুলিশের ভয়ে গ্রামের পুরুষ লোক বাড়িতে থাকতে পারছে না। ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এটা কখনো কাম্য নয়।
এবিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আখতারুল ইসলাম জানান, এলাকার লোকজন সকালে তার কাছে এসে পুলিশি হয়রানি বন্ধ করার দাবি জানান। তিনি বিষয়টি থানার অফিসার ইনচার্জকে জানিয়েছেন।
এবিষয়ে পীরগঞ্জ থানা পরিদর্শক(ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন ভোট কেন্দ্রে সহিংসতার ঘটনায় একজন ম্যাজিস্ট্রেট সহ ভোটের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তারা আহত হয়। এ মামলায় কোন নিরিহ লোক যেন হয়রানি না হয়, সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে পীরগঞ্জ উপজেলার বৈরচুনা ইউনিয়নের ইন্দ্রোইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে সহিংসতার ঘটনায় প্রিজাইডিং অফিসার বাবলুর রহমান বাদি হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাতনামা ৬০০ গ্রামবাসির নামে ১ ডিসেম্বর থানায় মামলা করেন। এ মামলায় রিয়াজুল ইসলাম সহ ৩ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। আদালত এদের মধ্যে দুই জনকে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য এরই মধ্যে অনুমতি দিয়েছেন।
আগামীনিউজ/ হাসান