পটুয়াখালী: উপকূল জুড়ে বইছে দখিনের হিমেল হাওয়া। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসা পর্যটকদের সমুদ্রে উম্মাদনা। পর্যটকদের আগমনে এখন মুখরিত কুয়াকাটা সৈকত। কেউ সমুদ্রে গোসল করছে, আবার কেউ কেউ বালিয়াড়িতে দৌঁড়-ঝাপ দিচ্ছে। কেউবা আবার সৈকতে বেঞ্চিতে বসে সমুদ্রের বিশালতায় নিজেদেরকে প্রকৃতির সাথে বিলীন করে দিয়েছে। তবে কক্সবাজারে ঘটনায় তেমন কোন বিরুপ প্রভাব পরেনি কুয়াকাটায়। সরকারী দুই দিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে সৈকতে এসব পর্যটকের আগমন ঘটেছে। এসব পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে ট্যুরিস্ট, মহিপুর থানা পুলিশ দর্শনীয় জোনগুলোতে টহল অব্যাহত রেখেছে।
স্থানীয় অধিবাসীরা জানান, পুরো সৈকতজুড়ে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত। দর্শনীয় স্থানগুলোতে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি রয়েছে চোখে পড়ার মত। অধিকাংশ হোটেল-মোটেল বুকিং রয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ঘুরতে আসা পর্যটক শিল্পী বেগম এ প্রতিনিধিকে জানান, কুয়াকাটার সবকিছুই আমাকে বিমোহীত করেছে। তবে মনে হয়েছে কুয়াকাটার লোকজন খুবই অতিথীপরায়ন ও পর্যটন বান্ধব। খাবারের গুণগত মান আরও একটু ভালো হওয়া উচিত। কুয়াকাটায় না আসলে বোঝা যাবেনা এটি একটি অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভ’মী। আরেক পর্যটক সাবিনা খাতুন বলেন, গত দু’দিন আগে এখানে এসেছি। বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখেছি। খুবই ভাল লেগেছে। তবে দর্শনীয় স্থানে যাতায়াতের সড়কগুলো বেহাল দশা। এগুলো দ্রুত সংস্কার ও মেরামত করা প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছেন তিনি।
কুয়াকাটা সী-ট্যুর এন্ড ট্রাবেলসের ব্যবস্থাপক মো: হেসাইন আমির গনমাধ্যমকে জানায়, দক্ষিন বঙ্গের বহু প্রতিক্ষিত পায়রা সেতু খুলে দেয়ার পর থেকে কুয়াকাটায় পর্যটকদের প্রচুর পরিমানে চাপ বেড়েছে। আমরাও চেষ্টা করছি আগত পর্যটকদের ভালো সেবা দিতে। তবে কক্সবাজারের ঘটনার কোন প্রভাব পড়েনি কুয়াকাটায়।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনে সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল খালেক সাংবাদিকদের বলেন, কুয়াকাটায় আগত সকল পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তামুলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।এছাড়াও ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি টিম দর্শনীয় স্থানগুলোতে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছে বলে তিনি জানান।
আগামীনিউজ/ হাসান